ঢাকা ২১ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৩৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
মোঃ নুরনবী ইসলাম, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের খানসামায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) ভবন নির্মাণকাজে অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৭ জানুয়ারী সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গণপূর্ত বিভাগ, দিনাজপুর বাস্তবায়নকারী সংস্থার আওতাধীন এস এস এল-এম আর(জেভি) নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টিটিসি ভবনের কাজ করছে। তবে ঠিকাদারের কোন দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে পাওয়া যায় নি। এমতাবস্থায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন ও আলোকঝাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আ স ম আতাউর রহমান ঘটনাস্থলে আসেন।
এরপর সরেজমিনে দেখা যায় ভবন নির্মাণে সিমেন্টের পরিমান খুবই কম দিয়ে বালুর পরিমান অত্যধিক বেশি দিয়ে কাজ করছে। দেওয়ালে পানি না দেওয়ায় ও সিমেন্টের পরিমাণ কম দেওয়ায় টাইলসের কাজও খুবই নিম্নমানের হচ্ছে। এছাড়াও টয়লেটের সোক অয়েলের ১৬ ফিট গভীরতা করার কথা থাকলেও তা ৮.৫ ফিট গভীরতা করে নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণকাজের ইটের খোয়াও খুব নিম্নমানের ব্যবহার করা হচ্ছে। শেষে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাব প্রকৌশলী রেজওয়ান আহমেদ লিয়ন, সাব ঠিকাদার আঃ মমিন ও ম্যানেজার ফজলুর রহমানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কোন সদুত্তর দেয় নি। পরিদর্শনকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন বলেন, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) আমাদের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান। অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমাদের স্বপ্ন গুলো বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। এসব স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানে কোন অনিয়ম হতে দেওয়া যাবে না।ভবন নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের বিষয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগগুলো পুরোপুরি সত্যি। প্রয়োজনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এস এস এল-এম আর (জেভি) এর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরিদর্শনকালে টিটিসি ভবন নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও টয়লেটের সোক অয়েলের গভীরতা পরিমাপ করে ১৬ ফুটের জায়গায় ৮.৫ ফিট গভীরতা পাওয়া গেছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে দিনাজপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবু জাফর সিদ্দিকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি। বার্তা প্রেরক মোঃ নুরনবী ইসলাম
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST