ঢাকা ১ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৫৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
মোঃ জসিম উদ্দিন দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারে চলছে এলজিইডির সড়ক নির্মাণের কাজ। পরিমানের চেয়ে কম বালু, নিম্নমানের ইটের সুড়কির সাব-বেইজন্ড ও মেকাডাম ব্যবহারে প্রকাশ্যেই নিয়ম-বহিভর্ূত ফঁাকি-ঝুকির নির্মান কাজ অব্যাহত গতিতে চললেও কর্তৃপক্ষ রয়েছে নির্বিকার। স্থানীয়দের অভিযোগ, সুচতুর ঠিকাদার এলজিইডির তদারকিতে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই দ্রুততার সাথে সড়কটির নির্মাণ কাজ করছেন। এলজিইডি প্রকৌশল বিভাগ অবশ্য নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ মানতে নারাজ। উপজেলা প্রকৌশলী দিপুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের কোন সুযোগ নেই। কার্পেটিং শুরুর পূর্বে একাধিকবার (টেস্ট) পরীক্ষা-নিরীক্ষা রিপোর্টের পরেই কার্পেটিং করা হবে। সুতরাং ফঁাকি-ঝুকি দিয়ে ঠিকাদার পাড় পাবে না। কাজের গুণগত মান দেখেই বিল পরিশোধ করা হবে। সরেজমিন দেখাগেছে, উপজেলার পাংগাশিয়া ইউনিয়নের ছন্দু প্যাদার বাড়ি থেকে আলমগীর চেয়ারম্যানের বাড়ি হয়ে ধোপার হাট পর্যন্ত ২হাজার ৮শ’ ৫০ফুট সড়কে পরিমানের চেয়ে কম বালি দিয়ে নিম্নমানের ইটের খোয়ার সাব-বেইজ্ড ও মেকাডামের কাজ চলছে। এলজিইডির তালিকাভুক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল-আমীন রাস্তাটি নির্মাণ কাজ করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা মুন্সী অভিযোগ করেন, ২/৩নম্বর ইটের সুড়কি দিয়ে রাস্তাটি নির্মাণ করছে। এগুলোকে ইট বলার উপায় নেই, যেন চুলার মাটি। রোলার দেয়ার সাথে সাথে গুড়ো হয়ে মিশে যাচ্ছে। বালুও দেয়া হয়েছে অনেক কম। একই গ্রামের বাসিন্দা মোতাহার উদ্দিন সিকদার জানান, রাস্তা নির্মানে অনিয়ম ও ফঁাকিবাজীর প্রতিবাদ করলেও ঠিকাদারের লোকজন তা আমলে না নিয়ে বরং দোর্দন্ড প্রভাবেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, এলজিইডির তদারকির দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপসহকারী প্রকৌশলী মাইনুল ইসলাম (এসও) প্রথম প্রথম দু’একবার রাস্তা পরিদর্শন করলেও রহস্যজনক কারনে তাঁকে এখন আর তেমন দেখা যায় না। অনেকটা তদারকি বিহীন অবস্থায় চলছে রাস্তাটির নির্মাণ কাজ। অভিযোগ অস্বীকার করে এসও মাইনুল ইসলাম বলেন, মানসম্মত উপকরণ ব্যবহারের নির্দেশনা ঠিকাদারকে দেয়া আছে। নিম্নমানের খোয়া ও পরিমানের চেয়ে কম বালু দিয়ে ঠিকাদার কাজ সম্পন্ন করতে পারবে না। যেটুকু ত্রুটি হয়েছে তা ঠিক করতে হবে। ইতোমধ্যে নিম্নমানের খোয়া পরিবর্তণ করে মানসম্মত খোয়া ও বালি দিতে বলা হয়েছে। ম্যানেজের প্রশ্নে বলেন, কোন খাতির নেই,চুক্তিতে যা যা আছে, ঠিক ঠিক তাই ব্যবহার করে বিল নিতে হবে। ঠিকাদার মো: আল-আমীন বলেন, এলজিইডির ইঞ্জিনিয়ার ও এসও’র নির্দেশনা মতেই কাজ করা হচ্ছে। অনিয়মের অভিযোগ সঠিক নয়। নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার প্রশ্নে বলেন, ফিনিশিং ভালো করতে হলে উপরে কিছু কিছু ২নম্বর ইটের খোয়া ব্যবহার করতে হচ্ছে বলে তিনি স্বীকার করেছেন।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST