মোঃ হাইরাজ তালতলী বরগুনা :- বরগুনার তালতলীর ছালেহিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে দাখিল পরিক্ষা। এই কেন্দ্রর মাঠ দখল করে বাদশা নামের এক ঠিকাদার চলমান পাঁজরা ভাংগা রাস্তার কাজের জন্য নির্মাণ সামগ্রী রেখে ব্যক্তিগত ব্যবসা পরিচালনার জন্য । এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে শিক্ষক ও পরীক্ষার্থীরা। অভিবাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছে নির্মাণ সামগ্রী রাখার কারনে যে কোনো সময়ে ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়,২০২০ সালে এই কেন্দ্র উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার ৪১৪ জন শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশগ্রহন করেছেন। মাঠে নির্মাণ সামগ্রী রাখার কারণে দাখিল পরীক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান ,টিকাদার বাদশা দীর্ঘ দিন যাবৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠ দখল করে পাথর, বালুসহ নির্মাণসামগ্রী রাখার পর থেকেই এই মাদ্রাসার এক দিনের জন্যও স্বাভাবিক পাঠদান হয়নি। এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধক্ষ্য হারুন অর রশিদ এর কাছে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা অভিযোগ করলেও কোন ব্যবস্থা নেননি তিনি । মঙ্গলবার(০৪ ফেব্রয়ারী) সকাল ১০টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তালতলী ছালেহিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় দাখিল পরিক্ষার কেন্দ্র মাঠজুড়ে বালু ও পাথর রাখা হয়েছে। যেখানে পরিক্ষার্থীরা ঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারছে না। তবে প্রশাসনে সাথে কথা হলেও তারাও বলেন ইটের পাথরের জন্য ভিতরে প্রবেশ করা যায় না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষক বলেন মাদ্রাসার সুপার ও ঠিকাদার ক্ষমতার অপব্যবহার করে মদ্রসা মাঠ দখল করে ঠিকাদারি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর কারনে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেওয়ার সময় বাতাসে বালু উড়ে তাদের চোখে গিয়ে পড়ে। এতে তাদের পরীক্ষার্থীদের পরিক্ষায় ব্যাঘাত ঘটে, তাছাড়া তাদের মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ও খেলাধুলা করতে পারছে না নির্মাণ সামগ্রী রাখার জন্য। এগুলো পরে সরিয়ে নেওয়ার পরও মাঠে অসংখ্য নির্মাণ সামগ্রী পড়ে থাকবে। যখন শিক্ষার্থীরা খেলতে নামবে তখন দুর্ঘটনার শিকার হবে। আর এই বিষয়ে কিছু বললে তাতে কর্ণপাত করছেন না তিনি। একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, নির্মাণসামগ্রী মাঠে রাখার কারনে বাতাসে বালু উড়ে তাদের চোখে এসে পরে এতে পরীক্ষায় ব্যাঘাত ঘটে তাছাড়া পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত ট্রাকের শব্দে কিছু শোনা যায় না। এজন্য কেন্দ্র এসে এখন তারা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরাও করতে পারছে না। একাধিক অভিবাবকরা বলেন, পরিক্ষার কেন্দ্রর মাঠে পাথর ও বালু রেখে সম্পর্ন মাঠটি দখল করে ব্যক্তিগত ব্যবসা চালাচ্ছেন। এই পাথর ও বালুতে যেকোনো সময় পরিক্ষার্থীরা দূর্ঘটনার স্বীকার হতে পারে। তখন এর দায় ভার কে নিভে তাই দ্রুত এগুলো সড়িয়ে নেওয়া অনুরোধ করেন তারা। এ বিষয় ঠিকাদার বাদশা বলেন,রাস্তার কিছু কাজ চলছে সে জন্য বালু ও পাথরগুলো মাঠে রাখা হয়েছে। দুই এক দিনেই এগুলো সরিয়ে নেওয়া হবে। বালুও পাথরের জন্য পরিক্ষার কেন্দ্র পরিক্ষা চলাচলের বিগ্ন ঘটার বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠো ফোনটি কেটে দেন তিনি। এ বিষয়ে মাদ্রারসার অধক্ষ্য ও হল সচিব হারুন অর রশিদ বলেন,এই বিষয়টির জন্য আমি দুঃখিত। ঠিকাদার বাদশাকে ডিসেম্বরের ভিতরের মাঠে রাখা বালু ও পাথরগুলো সড়িয়ে নেওয়ার বিষয়ে বললেও তিনি তা সরিয়ে নেয়নি। আর এ জন্য পরিক্ষা কেন্দ্রের পরিক্ষা নিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) সেলিম মিঞা বলেন,এই বালু ও পাথরের জন্য আমি গতকাল পরিক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনের জন্য যেতে পারিনি। আর আমি গত কাল এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিরের কাছে জানতে চাইলে সে বলছে তার মাদ্রাসায় সাইক্লোন ভবন হবে। সে জন্য কিছু বলিনি। আজ আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম এগুলো ঠিকাদারের ব্যক্তিগত। এবিষয়ে আমি ব্যবস্থা নিবো।
