ঢাকা ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৪৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২০
লোটাস আহম্মেদ, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :- দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে আলোচিত ও নৃসংস শিশু পরশ (৪) হত্যা মামলায় ৫ জনের ফাঁসির আদেশ দেওয়ার সন্তোষ প্রকাশ করেছে শিশু পরশের পরিবার। গত বুধবার বিকেল সোয়া ৪টায় দিনাজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শরিফ উদ্দিন আহম্মেদ এই মামলায় ৫ জনের ফাঁসির আদেশ এবং যথাযথ স্বাক্ষ্য প্রমান না থাকায় আরো ৬ আসামীকে খালাস দেন। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামী হলেন, ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার কাদিমনগর গ্রামের এহিয়া হোসেনের দুই ছেলে জুয়েল ইসলাম (২৭) ও জিল্লু মিয়া (২০), কামাল হোসেন ছেলে মামুনুর রশিদ মামুন (২০), ওয়াজেদ আলীর ছেলে ফিরোজ কবীর (২০) এবং উদয়ধুল গ্রামের মাহবুবুর রহমানের ছেলে হুমায়ন কবীর সাগর ওরফে বুলেট (২০)। মামলা থেকে খালাসপ্রাপ্ত ৬ জন হলেন, ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার বলদিয়াপাড়া গ্রামের মৃত মাহাতাব উদ্দীনের ছেলে তারা মিয়া (৪৫), কাদিমনগর গ্রামের ফেরদৌস আলীর স্ত্রী নুর বানু (৪৫), রফিকুল ইসলামের মেয়ে অন্তরা আক্তার (১৯), এহিয়া হোসেনের স্ত্রী ও ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী দুই সহদর জিল্লু-জুয়েলের মা শেফালী বেগম (৪৮), ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী মামুনের বাবা কামাল হোসেন (৫০) ও ফেরদৌস আলী (২৫)। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে শিশু পরশের বাবা কেশব সাহা বলেন, আমার শিশু ছেলেকে নির্মম ভাবে হত্যা করে খুনীরা। এই রায়ের মধ্যে দিয়ে আইনের শাসন বাস্তবায়ন হয়েছে এবং আগামীতে কেও আর এই জঘন্য অপরাধ করার চেষ্টা করবে না। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এই রায় যেন দ্রুত থেকে দ্রুততম সময়ে কার্যকর করা হয়। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর হিন্দু ধর্মালম্বীদের কালীপূজার দিন ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার কাদিমনগর (হিন্দুপাড়া) নিজ বাড়ির সামনে থেকে কাপড় ব্যবসায়ী কেশব সাহার শিশু সন্তান পর্শ সাহা ওরফে পরশকে (৪) অপহরণ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে কেশব সাহার কাছে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে দুর্বৃত্তরা। যথাসময়ে মুক্তিপণের টাকা না দেওয়ায় বাম চোখ উপড়িয়ে ও মুখের ভিতর মাটি ঢুকিয়ে শ্বাসরোধ করে শিশু পরশকে নির্মমভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরের দিন ১২ নভেম্বর নিজ বাড়ি থেকে ৫শ গজ দুরে ঘোড়াঘাট কেন্দ্রীয় কবরস্থানের পাশের আম বাগান থেকে শিশু পরশের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহত শিশুর বাবা কেশব সাহা বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী জিল্লু, জুয়েল ও বুলেটকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যার কথা স্বীকার করে এবং তাদের দেওয়া তথ্যমতে হত্যায় জড়িত সন্দেহে অন্য আসামীদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST