কিশোরগঞ্জে আগুনে ৪ পরিবারের স্বর্বস্ব ছাই হয়ে গেছে

প্রকাশিত: ৭:৩২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০২০

কিশোরগঞ্জে আগুনে ৪ পরিবারের স্বর্বস্ব ছাই হয়ে গেছে

খাদেমুল মোরসালিন শাকীর,রংপুর ব্যুরোঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের হাজীপাড়া গ্রামে ৪টি বাড়ী পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। উপজেলা ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে,বৃহস্পতিবার রাতে হাজীপাড়া গ্রামের জফর উদ্দিনের ছেলে মোশারফ হোসেনের গোয়াল ঘরের (গরু থাকার ঘর) কয়েলের আগুন থেকে এ আগুনের সুত্রপাত হয়। গোয়াল ঘরে থাকা শুকনা খড়িতে (লাকরি) আগুন ধরার সাথে সাথে মুহুর্তের মধ্যে আগুন বাড়ীর চারপাশে ছড়িয়ে পরে। মোশারফ হোসেনের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসতে ব্যর্থ হয়ে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ৩০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এতে ৫ পরিবারের ১৩টি বসত ঘর ৪টি গরু,টিভি ফ্রিজসহ ৭ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
করোনার কারণে এলাকার মানুষ যখন কর্মহীন হয়ে বাড়ীতে বসে ঠিক সেই সময় আগুনে পুরে যাওয়া বাড়ীর মানুষ গুলো সহায় সম্বলহীন হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মধ্যে জফর আলীর ছেলে মোশারফ হোসেন’র দোকানের মালামাল,টিভি ফ্রিজসহ থাকার ৩টি ঘর ও ৪টি গরু পূড়ে গেছে। ওমর ওমর আলীর ছেলে মন্টু মিয়ার ২টি,অজিবর রহমানের ছেলে আবু সায়েমের ২টি,ভুট্রু মামুদের ছেলে সবুজ মিয়ার ১টি বসত ঘরের আসবাবপত্রসহ ধান চাল পুড়ে গেছে।
সংরক্ষিত মহিলা সদস্য লাভলী বেগম জানান,গত বুধবার গভীর রাতে একই এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে লাল মিয়ার বাড়ী থেকে একটি ভ্যান ও ৬টি চেয়ার ও আজগার আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানের ১টি ব্যাটারী চালিত ভ্যান চুরি হয়। এমন সন্দেহে মোশারফ হোসেনের বাড়ীতে আগুন লাগার চিৎকার শুনে এলাকাবাসী প্রথমে লাঠি সোটা নিয়ে রাস্তায় এসে দেখে বাড়ীতে আগুন লেগেছে। সাথে সাথে এলাকাবাসী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।
খরব পেয়ে শুক্রবার সকালে কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্ মোঃ আবুল কালাম বারী পাইলট ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবার পরিদর্শন করে তাদের মাঝে নগদ অর্থসহ শুকনা খাবার বিতরণ করেন।
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত ষ্টেশন অফিসার রেদওয়ানুজ্জামান বলেন,আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩০মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসি। তবে পুরে যাওয়া বাড়ীর পাশাপাশি আগুন না লাগা কিছু বাড়ী ভেঙ্গে ফেলে অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা যাচ্ছে আগুনে পুরে যাওয়া ৪টি পরিবারের প্রায় ৭লক্ষাধিক টাকার মত হবে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest