বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষনের মূল তাৎপর্য ছিল স্বাধীনতা অর্জণ -শেখ আফিল উদ্দিন এমপি

প্রকাশিত: ১:৪০ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৮, ২০২০

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষনের মূল তাৎপর্য ছিল স্বাধীনতা অর্জণ -শেখ আফিল উদ্দিন এমপি

এসএম স্বপন,বেনাপোলঃ যশোর-১ (শার্শা) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন বলেন, মনীষীদের এমন কিছু বাণী আছে যা সারা জীবন ধরে শুনে আসলেও বারংবার নতুনের মতোই মনে হয়। তেমনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষন যতবারই শুনি ততবারই শুনবার ইচ্ছা জাগে। তাই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষন কখনও পুরাতন হবেনা। যে কারণে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আর্ন্তজাতিক অঙ্গণে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে সিকৃত হয়েছে। শনিবার বিকেলে শার্শা উপজেলার নাভারন ডিগ্রী কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে একথা বলেন তিনি। শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জুর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক তথা যশোর জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিলের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে শেখ আফিল উদ্দিন এমপি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষনের মূল তাৎপর্য ছিল স্বাধীনতা অর্জণ। তিনি ছিলেন একজন জাগ্রতবস্থার স্বপ্নদ্রষ্ঠা। তিনি ছিলেন একজন মহামানব। যেকারণে সেদিন তিনি তার ভাষণে বলেছিলেন আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি, তোমরা তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়বে। মহান আল্লাহতায়ালা তাঁর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করেছেন। আজ আমরা স্বাধীন জাতি। শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগ কর্তৃক অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিন আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো এদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করা। যা আমাদের সাথে মিশে থাকা পাকিস্তানি পেতাত্মারা বুঝতে পেরে জাতির জনকসহ সপরিবারে হত্যার মিশন নেয়। ওরা ভয় পেয়েছিলো বাংলার লৌহমানব বঙ্গবন্ধুকে। ভেবেছিলো শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে এদেশ একদিন সোনার বাংলায় পরিণত হবে। তাই, বঙ্গবন্ধু যে অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন সেই অস্ত্র দিয়েই এদেশের বিশ্বাষ ঘাতকরা বঙ্গববন্ধুর বুকে আঘাত হেনেছিলো। হত্যা করেছিলো বঙ্গবন্ধুসহ সপরিবারে। সেদিন আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে বেঁচে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর দুই কণ্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা। দীর্ঘকাল অতিবাহিত হলেও বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা হাল ধরেন জাতির জনকের প্রিয় সংগঠন আওয়ামীলীগের। বারংবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্বপ্নের সোনার বাংলাদেশকে উন্নয়নের উন্নত শিখরে নিয়ে চলেছেন। যে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ সত্যিকারের সোনার বাংলায় পরিণত হতে চলেছে। এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা চলমান থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত দেশের বাসিন্দা হিসেবে পরিচয় দিতে পারব বলে আমি বিশ্বাষ করি। এসময় সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষনের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন দূর্গ গড়ে তোলার কথা। বলেছিলেন প্রত্যেক পাড়ায়, প্রত্যেকটি মহল্লায়, প্রত্যেকটি গ্রামে আওয়ামীলীগের সংগ্রাম পরিষদ তুলতে হবে। যার মর্মকথা ছিলো অনেক। এজন্য আমাদের সবাইকে বঙ্গবন্ধুর আদেশটি অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। নইলে জামায়াত-বিনপি সুযোগ পেলেই আপনাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে। মনে রাখবেন, ওরা কোন ভাবেই আওয়ামীলীগের দেশ উন্নয়নের রাজনীতি মেনে নিতে পারেনা। ওদেরকে কোনভাবেই বিশ্বাষ করা যাবেনা। ওরা বিষধর সাপের মতো। যতোই ওদেরকে দুধ কলা দিয়ে পোষেন না কেন ওরা যেমন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলো তদ্রুপ ফাঁক পেলে আমাদেরকেও ধ্বংশ করতে পিছপা হবে না। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান, সহ সভাপতি আলহাজ্ব সালেহ আহমেদ মিন্টু, কোষাধক্ষ্য ওয়াহিদুজ্জামান, যশোর জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আসিফ-উদ-দৌলা অলোক, বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের ভারডপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব এনামুল হক মুকুল, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব¡ নাসির উদ্দিন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া ফেরদৌস, যুবলীগের সভাপতি ও যশোর জেলা পরিষদের সদস্য অহিদুজ্জামান অহিদ, সাধারণ সম্পাদক ও শার্শা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, বাস্তহারালীগের সভাপতি আবুল হোসেন, বাগ আঁচড়া ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুল, বেনাপোল ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বজলুর রহমান, উলাশী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আয়নাল হক, কায়বা ইউপি চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহমেদ টিংকু, গোগা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, পুটখালী ইউপি চেয়ারম্যান হাদিউজ্জামান, বাহাদুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, লক্ষণপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম, নিজামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আযাদ, ডিহি ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার প্রমুখ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন শার্শা সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কওছার আলী, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোরাদ হোসেন, বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আলীকদর সাগর, নেতা মোস্তাক হোসেন স্বপন, বাহাদুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, নেতা বাদশা মল্লিক, কায়বা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, লক্ষণপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, ডিহি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমানসহ শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest