মোঃ ফিরোজ হোসাইন নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর সাপাহারে গাছগুলোতে আমগুলো দোল খেতে দেখা যাচ্ছে। অনুকূল আবহাওয়া থাকলে এবারেও গত বছরের ন্যায় আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে আম বাজারজাত করা নিয়ে হতাসাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন এলাকার আমচাষীরা। জানা গেছে, প্রতিবছর সাপাহারের আম শুধু মাত্র আমাদের দেশ’ই নয় বরং বিশ্বের বেশ কিছু দেশে রপ্তানি হয়। দেশেরর্ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা আম ব্যাবসায়ীগন আড়তের মাধ্যমে আম ক্রয় করে দেশ-বিদেশে রপ্তানী করেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে করোনা ভাইরাসের কারনে বিশ্বের সব দেশের সাথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে ৷ নওগাঁ জেলা লকডাউন থাকার ফলে এলাকায় আসতে পারছেননা কোন ব্যাপারী। যার ফলে আমের বাজারজাত করা নিয়ে উৎকন্ঠায় রয়েছেন এলাকার আমচাষীগন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোট ৬ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে আমবাগান ছিলো। প্রতি হেক্টর জমিতে আমের ফলন হয়েছিলো ১৫ মেট্রিক টন। যার ফলে লাভবান হয়েছিলো এলাকার আমচাষীরা। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোট ৮ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে আমগাছ লাগানো হয়েছে। যাতে করে এ বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে ২ হাজার ১শ’ ৫০ হেক্টর জমি। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন বাগানের আমগাছ গুলোতে ব্যাপক পরিমাণ আম দেখা যাচ্ছে। এই মুহুর্তে আম যাতে ঝরে না যায় সেদিকে খেয়াল রেখে এবং অধিক ফলনের লক্ষ্যে বাগানের গাছ গুলোতে বালাইনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। গতবছরের ন্যায় চলতি বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে আমের ফলন প্রতি হেক্টরে আবারো ১৫ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ বছরে আম বাগান বৃদ্ধি হলেও গাছ গুলো নতুন হওয়ায় সেগুলো থেকে ফল আশা করছেননা এলাকার আমচাষীরা। যার ফলে গড় উৎপাদন গত বছরের সাথে তুলনা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলার একাধিক আমচাষীর সাথে কথা হলে তারা জানান, আগামীর সম্ভাবনায় স্বপ্ন নিয়ে বাগান পরিচর্যার করে আম রক্ষার্থে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছরেও আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন এলাকার আমচাষীরা। কিন্তু মহামারী করোনা ভাইরাসের স্থিতিকাল যদি বেড়ে যায় তাহলে বাজারজাত করা নিয়ে অনেকটাই বিপাকে পড়তে হবে বলে জানিয়েছেন এলাকার অধিকাংশ আমচাষী।