আল-কারিয়া চৌধুরী জয়পুরহাট প্রতিনিধি : কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর নৈশ প্রহরীসহ জয়পুরহাটের কালাই ও ক্ষেতলাল উপজেলায় আরও ১১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর নৈশ প্রহরী আক্রান্ত হওয়ায় রাত থেকেই কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন করা হয়েছে। এ নিয়ে এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ জনে। সোমবার রাত ১১.৩০ টায় সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিম মিঞা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নৈশ্য প্রহরী ও তার ভগ্নিপতির বাড়ি একই এলাকায়। তার ভগ্নিপতি গার্মেন্টস কর্মী। কয়েকদিন আগে সে নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়ি আসে। পাশাপাশি অবস্থানের কারণে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানোর পর আজকে তার শরীরে করোনা উপস্থিতির রিপোর্ট এসেছে। ওই নৈশ প্রহরী হাসপাতালে ওয়ার্ড বয়েরও দায়িত্বপালন করেন। ফলে সকলেই তার সান্নিধ্যে আসায় রাতেই হাসপাতাল লকডাউন করা হয়েছে। এ ছাড়া করোনা শনাক্ত হওয়া অন্যদের মধ্যে ১৭ বছরের একযুবক তাবলিগ জামাত থেকে এবং বাকিরা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন। এর আগে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা জেলার ৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বর্তমানে এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ জনে। জয়পুরহাট সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিম মিঞা জানান, সোমবার রাতেই ১১ জনকে আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইনস্টিটিউট হেলথ টেকনোলজির আইসোলেশনে (সেফ অতিথিশালা) রাখা হয়েছে । এর আগে কালাই উপজেলার নারায়নগঞ্জ ফেরত জিন্দারপুর গ্রামে প্রথম দুইজন ও গাজীপুর ফেরত তরুণী এক গার্মেন্টস কর্মী, পাঁচবিবি উপজেলার ছোট মানিকগ্রাম ও পূর্বকড়িয়ায় দুইজন, আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর বিষ্ণপুর গ্রামে করোনা রোগী শনাক্ত হয়।এ নিয়ে জেলায় মোট ১৯ জন আক্রান্ত হলেন। আগের আক্রান্ত ৮ জনকেও আইসোলেশনে রাখা হয়েছে এবং তারা সুস্থ আছেন। তবে ছোট্র এ জেলায় প্রতিদিনই করোনা রোগী বেড়ে যাওয়া মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।