বিভূতির মত আরেক করোনা যোদ্ধা বায়জিদ কে শুভেচ্ছা জানিয়ে তার পাশে এসে দারিয়েছে জেলা প্রশাসন বরিশাল

প্রকাশিত: ৫:২১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২০

বিভূতির মত আরেক করোনা যোদ্ধা বায়জিদ কে শুভেচ্ছা জানিয়ে তার পাশে এসে দারিয়েছে জেলা প্রশাসন বরিশাল
শফিউর রহমান কামাল বরিশাল ব্যুরোঃ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজর মাইক্রোবায়লোজি বিভাগে স্থাপিত আরটি-পিসিআর ল্যাব প্রস্তুত হবার পর থেকে। শেবাচিমের করোনা ওয়ার্ডে সন্দেহভাজন রোগীদের নমুন সংগ্রহের লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। হাসপাতালের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চিকিৎসক এবং নার্সসহ অভিজ্ঞ সকলেই এ কাজে অপরাগ প্রকাশ করেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে যখন সবাই চিন্তিত হয়ে পড়েন ঠিক তখন স্বেচ্ছায় এ কাজের জন্য নিজেকে সমর্পন করেন হাসপাতালের কনিষ্ঠ টেকনোলজিস্ট বিভূতিভূষণ হালদার। তার সাথে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে আরেকজন করো না যোদ্ধা শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অফিস সহায়ক আব্দুল্লাহ আল বায়জিদ। তারা প্রানঘাতি করোনা ভাইরাসের ভয়কে উপেক্ষা করে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে প্রতিদিনই ছুটে যাচ্ছেন রোগীদের পাশে। টানা ১৯দিন ধরে করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করার পর ল্যাব পর্যন্ত আনা নেওয়া তাকেই করতে হয়। যেখানে হাসপাতালের অধিকাংশ স্টাফ করোনা ওয়ার্ডে যেতে অস্বীকার করছেন সেখানে তার নিরলস প্রচেষ্টা মানব সেবার দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ হিসেবে থাকবে বলে মনে করছেন অনেকেই। আজ বায়জিদ এর বীরত্বের জন্য তার পাশে এসে দারিয়েছে বরিশালের জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে আজ ২৯ এপ্রিল বুধবার বিকেলে অফিস সহায়ক আব্দুল্লাহ আল বায়জিদ কে তার কাজের প্রতি উৎসাহ প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকার প্রাইজবন্ড এবং শুভেচ্ছা স্বরূপ রকমারি ফলের ঝুড়ি প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসক এস, এম, অজিয়র রহমান এর পক্ষ থেকে এই উৎসাহ প্রদানের জন্য শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন জেলা প্রশাসন এর সহকারি কমিশনার ও এনডিসি বরিশাল রবিন শীষ। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড চালু হওয়ার পর ২৯ মার্চ এই ওয়ার্ড থেকে রোগীদের নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়।মেডিকেল টেকনোলজস্টি বিভূতিভূষণ হালদার একাই রোগীদের নমুনা সংগ্রহের কাজ করে আসছিলেন। পরে বেশ কয়েকজন অফিস সহায়কের অস্বীকৃতির পর ৮ই এপ্রিল বিভূতিভূষণের সাথে আব্দুল্লাহ আল বায়জিদ একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন। বায়জিদের পদ অফিস সহায়ক হলেও সে একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। নগরীর এডভান্স ইনস্টিটিউট অব হেলথ এন্ড ডেন্টাল টেকনোলজি থেকে ল্যাবরেটরি মেডিসিনের উপর ডিপ্লোমাও রয়েছে তার। সেই কারণে তার পদ মেডিকেল টেকনোলজিস্টের না হলেও সে এই ধরণের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে জানা গেছে। বিভূতি ও বায়জিদকে এখন বরিশালের হিরো বলছে অনেকেই। কেননা তারাই সাহস করে এগিয়ে এসেছে করোনা রোগীদের সেবা দিতে। রোগী থেকে শুরু করে হাসপাতালের চিকিৎসকদেরও নমুনা সংগ্রহ করছেন তারা। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করায় ইতিমধ্যে তাদের জন্য বরিশাল নগরীর একটি হোটেলে তাদের থাকার ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest