তালতলীতে করোনার কারনে পথে বসতে যাচ্ছে তরমুজ চাষী হারুন

প্রকাশিত: ১:৩৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০২০

তালতলীতে করোনার কারনে পথে বসতে যাচ্ছে তরমুজ চাষী হারুন
মোঃ হাইরাজ বরগুনা প্রতিনিধি।। বরগুনার তালতলীতে করোনার কারনে পথে বসতে যাচ্ছে এক তরমুজ চাষী । গত মৌসুমের চেয়ে এই মৌসুমে ভালো ফলনের কারনে। লাভের সপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সপ্ন আর স্থায়ী হয়নি।লাভের সপ্ন ভেঙে এখন কপালে তার দুশ্চিন্তার ভাজ। বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কায় পথে বসতে চলছেন চাষী হারুন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারনে তরমুজ ক্রয় করতে আসেনি পাইকারা। এদিকে বৃষ্টির কারণে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে তরমুজ। জানা যায় উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের কবিরাজ পাড়া এলাকার তরমুজ চাষী হারুন-অর- রশিদ বিভিন্ন এনজিও,ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ও স্থানীয় রাখাইনদের জমি এক বছরের জন্য নগত টাকা দিয়ে ৮ একর জমিতে তরমুজ চাষ শুরু করেন। খেয়ে না খেয়ে প্রতিদিনই তরমুজ ক্ষেতের পরির্চচা করেন তিনি। তার অক্লান্ত পরিশ্রমে গত মৌসুমের চেয়ে এ মৌসুমে ভালো ফলনও ধরেন। চাষী হারুনের মুখে আনন্দের হাসি থাকার কথা থাকলেও দেশে চলমান করোনা ভাইরাসের কারণে সঠিক সময় তরমুজ বিক্রি না করতে পেরে মুখে হাসির পরিবর্তে রয়েছে বিষন্নতার ছাপ। একদিকে আসছে না তরমুজ পাইকারীরা অন্যদিকে লকডাউনের কারনে সাপ্তাহিক ও দৈনিক হাটগুলোতে নেই খুচরা ক্রেতারা। আর বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাটের যোগাযোগের খুবই বেহাল। ঋণ বোঝা মাথায় নিয়ে পথে বসতে চলেছেন তরমুজ চাষী হারুন। এতে করে তার পরিবারেও চলছে হাহাকার। বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,হারুন অর রশিদের ৮ একর জমিতে তরমুজের ক্ষেতে পাকা তরমুজগুলো নষ্ট হতে চলছে। অসময়ে বৃষ্টি আর করোনা ভাইরাসের কারনে সঠিক সময়ে বাজারজাত করতে না পারার ক্ষেতেই তরমুজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর এলাকাবাসী বলেন হারুন প্রতি বছরই ২ একরে বর্গা তরমুজ চাষ করে আসছে কিন্তু প্রতি বছরের চেয়ে এ বছর ৮ একর জমিতে বর্গা তরমুজের চাষ করেন। ভালো ফলন ছিলো,কিন্তু অসময়ে বৃষ্টি আর করোনার কারনো। লকডাউন চলায় তার তরমুজ বিক্রি না করতে পেরে। হারুনের এবার অনেক লোকসানের মুখে পরতে পারে । তাই সরকারের কাছে অনুরোধ যাতে চাষী হারুন কিছুটা হলেও সচ্ছ ভাবে ফিরতে পারে। কান্না জনিত কন্ঠে চাষী হারুন অর রশিদ বলেন। বিভিন্ন যায়গা থেকে ঋণ ও ধারে টাকা নিয়ে ৮ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছিলাম। এখন করোনা ভাইরাসের কারণে তরমুজ বিক্রি করতে না পেরে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কায় আছি। এখন নতুন করে বৃষ্টির কারণে ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তরমুজ। তাই পরিবার নিয়ে এখন পথে বসতে হচ্ছে। তাই প্রশাসনের কাছে অনুরোধ যাতে ক্ষেতে যা তরমুজ আছে সে গুলো তাদের যাতে বিক্রি করতে পারি। স্থানীয় ইউপি সদস্য নিজাম মীর বলেন চাষী হারুন এখন পথে বসে গেছে। ওর সব কিছু দিয়েই এই তরমুজ চাষ করছিলো। ফলোনও ভালো হয়েছিলো। এখন করোনা ভাইরাস ও বৃষ্টির কারনে ক্ষেতেই তরমুজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তালতলী কৃষি অফিসার আরিফুর রহমান বলেন,ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার রির্পোট মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হবে ও তাকে সরকারীভাবে সাহায্য করা হবে। আর ক্ষেতে যে তরমুজ আছে সে গুলো বিক্রির জন্য সহযোগিতা করা হবে। এবিষয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো, আসাদুজ্জামান বলেন,তরমুজ চাষী হারুন অর রশিদের পাশে উপজেলা প্রশাসন দাড়াবে । যতে করে সে তার ক্ষেতের তরমুজ বিক্রি করতে পারে। এছাড়াও তাকে সবধরনের সহযোগিতা করা হবে।

মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest