শার্শায় লবনকান্ডে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানঃ ১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান

প্রকাশিত: ১২:৩৩ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০১৯

শার্শায় লবনকান্ডে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানঃ ১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান

এসএম স্বপন,বেনাপোলঃ সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী গুজব রটিয়ে সারা দেশে পেঁয়াজ-লবনসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ জনগণ। দিন আনা, দিন খাওয়া মানুষগুলো গুজব সত্য ভেবে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মুদি দোকানগুলোতে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম কৌশলে বাড়িয়ে নিচ্ছে ভুক্তভোগী জনসাধারণের কাছ থেকে। নিজেদের পকেটভারী করতে বাজার অশান্ত করে সরকারকে ফেলছে বিপাকে। এমন অসাধু ব্যবসায়ীকে ধরতে শার্শায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীসহ বাজার কমিটির পক্ষ থেকে চালানো হচ্ছে অভিযান।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে করা হচ্ছে জরিমানা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকে শার্শা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দোকানে দোকানে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়। এসময় নাভারণ ও বাগআঁচড়া
বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন, শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোরশেদ আলম চৌধরী।

এসময় তিনি জানান, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারকে, যারাই অস্থিতিশীল করতে চাইবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন গুজবকারী রেহাই পাবেনা।

এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে লবনে কারচুপি, ওজনে কম দেওয়া (১কেজির পরিবর্তে ৯ শ” গ্রাম), মূল্য তালিকা না টাঙানো ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখায় নাভারণ বাজারের ৩ টি দোকানীকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা এবং বাগআঁচড়া বাজারের আলী স্টোরের মালিক রফিকুল ইসলামকে ৫০ হাজার, বিশ্বাস স্টোরের মালিক হাজী কলিমুল্লাহকে ২০ হাজার, আনোয়ার স্টোরের মালিক আনোয়ার হোসেনকে ৩০ হাজার, ফারুক স্টোরের মালিক ফারুক মুদীকে ৩০ হাজার, কবির স্টোরের মালিক কবিরুল ইসলাম কালুকে ৩০ হাজার, শফি স্টোরের মালিক শফিকে ২০ হাজার টাকা করে ৬ টি দোকানীকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। নাভারণ ও বাগআঁচড়া মিলিয়ে সর্বমোট মোট ১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
সেই সাথে সকল ব্যবসায়ীকে হুশিয়ারী করে গুজব না রটিয়ে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে লবনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির জন্য বলা হয় এবং প্রতি ভোক্তার কাছে ২ কেজির বেশি লবন বিক্রি না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি সকলকে অবহিত করেন।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest