কাশ্মীর যাচ্ছে ভারতের মুসলিম প্রতিনিধি দল

প্রকাশিত: ১১:৪৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১১, ২০১৯

কাশ্মীর যাচ্ছে ভারতের মুসলিম প্রতিনিধি দল

আলোকিত সময় ডেস্কঃ ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উপত্যকায় যাচ্ছে দেশটির বিভিন্ন মুসলিম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের আধ্যাত্মিক প্রধান ও সুফি নেতারা। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর-এই কয়দিন স্থানীয় মানুষদের সাথে কথা বলে সেখানকার বাস্তব পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করবেন তারা।

১৮ সদস্যের একটি মুসলিম প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন জয়পুরের আজমির দরগার দিওয়ান জয়নুল আবেদিন আলী খানের পুত্র নাসিরুদ্দিন চিস্তি। মূলত জয়নুল আবেদিনের উদ্যোগেই উপত্যকায় এই প্রতিনিধি দল পাঠানো হচ্ছে।

এব্যাপারে আজমির দরগার দিওয়ান জানান, ‘সীমান্তের ওপার থেকে কাশ্মীর নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমি মনে করি কাশ্মীরের মানুষের সাথে আলোচনা করা উচিত, বিশেষ করে সেখানকার তরুণ-তরুণীদের সাথে এবং জম্মু-কাশ্মীরের উন্নতির জন্য আমাদের কাজ করা উচিত। আর সেই কারণেই উপত্যকায় একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আসলে আমরা কাশ্মীরের মানুষ ও সমৃদ্ধির মধ্যে একটা সেতু হিসেবে কাজ করতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘মুসলিম প্রতিনিধি দলের সফরের বিষয়ে ইতোমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আগামীকাল শনিবার প্রতিনিধি দলটি দিল্লি ছাড়বে। প্রতিনিধি দলটিতে রাজস্থান, হায়দ্রাবাদ, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, গুজরাট ও বিহারের মুসলিম সদস্যরা রয়েছেন।’

অন্যদিকে নাসিরুদ্দিন চিশতি জানান, ‘প্রতিনিধি দলের সদস্যরা মূরত জম্মু-কাশ্মীরের যুব সমাজের সাথে কথা বলবেন এবং সেখানকার বাস্তবতা মূল্যায়ন করবেন। আমাদের প্রধান লক্ষ্যই হল যুব সমাজ ও অন্য মানুষদের মধ্যে আস্থা অর্জন করা এবং তাদেরকে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা।’

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার ও রাজ্যটিকে বিভক্ত করে দুইটি অঞ্চলে ভাগ করা (জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ) নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত ও জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় উপত্যকায় বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়। নির্দেশিকা জারি করে পর্যটক, তীর্থযাত্রী, শ্রমিক, শিক্ষার্থীদের যেমন জম্মু-কাশ্মীর ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়, তেমনি অশান্তির আশঙ্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয় টেলিফোন, ইন্টারনেট ও কেবল টেলিভিশন পরিষেবা। একাধিক জায়গায় জারি করা হয় কারফিউ। একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দদের গৃহবন্দী করা হয়। সব মিলিয়ে কার্যস্ত স্তব্ধ হয়ে যায় কাশ্মীরের জনজীবন। যদিও ধীরে ধীরে কয়েকটি বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। খোলা হয় স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি ও বেসরকারি অফিস। যদিও তাতে উপস্থিতির সংখ্যা ছিল নেহাতই হাতে গোনা।

এরই মধ্যে প্রায় দুই মাস পর গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয় কাশ্মীর ভ্রমণের দরজা। যদিও গোটা উপত্যকা জুড়েই এখনও বহাল রয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। সাময়িক বন্ধ রয়েছে টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবাও। মানুষের চোখে মুখেও আতঙ্কের ছবি। এরই মধ্যে কাশ্মীরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানে যাচ্ছে মুসলিম প্রতিনিধি দল।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest