গোলাম মাওলার নতুন ফন্দি কোটি টাকা লোপাট।

প্রকাশিত: ৭:৪১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৬, ২০১৯

গোলাম মাওলার নতুন ফন্দি কোটি টাকা লোপাট।
ইরফান সুজন স্টাফ রিপোর্টারঃ বানারীপাড়ায় পৌর শহরের বন্দর বাজারে প্রতিষ্ঠিত প্রত্যাশা বহুমূখি সমবায় সমিতির কর্নধার গোলাম মাওলাকে আটক করেছে জনতা। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে ঝালকাঠি সদর থানার ক্লাব নামক স্থানে তাকে আটক করে পাওনাধার’রা। খবরে পেয়ে মাওলার স্ত্রী লাভলি বানারপাড়া থানায় অভিযোগ করলে সেখান থেকে বানারীপাড়া থানা পুলিশ জনতার রোষানল থেকে তাকে উদ্ধার করে। মাওলাকে আটকের খবর মূহুর্তের মধ্যে বন্দর বাজারসহ অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পরলে অনেক পাওনাদার’রা থানার অভ্যন্তরে ভির জমায়। পরে পুলিশ তাকে বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরে চতুর মাওলার পক্ষ থেকে জানানো হয় ২০২০ সালের জুন মাসে পাওনাদারদের কিছু কিছু টাকা পরিশোধ করা হবে। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে অনেক পাওনাদার জানান, এ রকম কথা সে বহুবার বলেছে তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্লেখ্য বানারীপাড়া উপজেলা সমবায় অফিস থেকে অনুমতি নিয়ে বন্দর বাজারে প্রত্যাশা বহুমূখি সমবায় সমিতি খুলে গোলাম মাওলা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা করে হাজার হাজার মানুষের কাছ থেকে অধিক সুদের কথা বলে সঞ্চয় জমা নেয়। যা থেকে সামান্য পরিমান অর্থ সে সমিতির সদস্যদের মাঝে ঋণ হিসেবে বিতরণ করে। তবে সদস্যদের সঞ্চয়ের বেশিরভাগ অর্থই থেকে যায় তার কাছে। এছাড়াও তার কাছে প্রবাসীদের পরিবারের পক্ষ থেকে মোটা অংকের টাকাও জমা রাখা হয়েছিলো। যে টাকার মুনাফা হিসেবে মাওলা ৫ বছরে দ্বীগুন টাকা দেওয়ার কথা ঘোষনা দিয়েছিলো। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে গোলাম মাওলা নিজ থেকেই গায়েব হয়ে যায়। পরে তার সমিতি ও পরিবারের পক্ষ থেকে জানান দেয়া হয় সমিতি অনেক লোকসানে পরেছে। তবে অনুসন্ধানে জানা যায় তার উল্টো,মানুষের জমানো অর্থ দিয়ে কিছু পরিমান বিরোধীয় সম্পত্তি ক্রয় করা এবং সমিতির কর্মচারীদের উদাসীনতা মিলে একটি ছক আঁকা হয়েছে সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাৎ করার ফন্দি হিসেবে। সরেজমিনে দেখাগেছে প্রত্যাশা বহুমূখি সমবায় সমিতিতে যারা সঞ্চয় ওঠানোর কাজ করতো তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ বন্দর বাজারে বর্তমানে সমিতি খুলে বসেছে। আবার অনেকে করেছে বাড়ি,কেউ করছে গ্যাসের ব্যবসা। কেবল কপাল পুড়েছে সাধারণ মানুষের। এ নিয়ে অনেক দেনদরবারও হয়েছে,যা সঞ্চয় জমা রাখা মানুষের আশার আলো দেখাতে সক্ষম হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে। একটি সূত্র থেকে জানাগেছে,উপজেলা সমবায় অফিস থেকে সমতির অনুমতি দেয়ার পরে তাদের পক্ষ থেকে আর কোন তদারকি করা হয়না। যারফলে সমিতির নামে অনুমতি নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের খেয়ালখুশীমতো তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে নিঃশ্ব ও রিক্ত করে দিচ্ছে উপজেলার অসহায় মানুষকে। অপরদিকে বর্তমানে বানারীপাড়া উপজেলায় ১৭৯টি সমবায় সমিতি সঞ্চয় জমা রাখার কাজ করছে। তবে সেই সমিতির কর্নধারদের নিজ নিজ ঠিকানা জানেনা সঞ্চয় জমা রাখা সাধারণ মানুষগুলো। আর যথাযথ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেও কোন প্রকার তদারকি করা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। খোদ পৌর শহরেও রয়েছে কয়েকটি সমবায় সমিতি যারা নিয়মের বাইরে গিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest