হারুন অর রশিদ(রিয়াদ) জলঢাকা(নিলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার আলহাজ্ব মিজানুর রহমান চৌধুরী কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ মাহমুদ আলম দুদু’র বিরুদ্ধে অবৈধভাবে নিয়োগ বানিজ্য সহ নানান অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ বাণিজ্যের ঘটনাকে কেন্দ্র করে, শনিবার (৩০ মে) সকাল ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ওই অধ্যক্ষকে কলেজের একটি কক্ষে প্রায় ০৭ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করেছে চাকরি প্রত্যাশীসহ স্থানীয়রা । পরে, সন্ধ্যায় এক চাকরি প্রত্যাশীকে নগদ ২ লাখ টাকা ফেরত দিলে, থানা পুলিশের সহযোগীতায় ছাড়া পান ওই অধ্যক্ষ। আলহাজ্ব মিজানুর রহমান কৃষি কলেজটি ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করলেও এমপিও না হওয়ায় ২০০৭-০৮ সাল থেকে শিক্ষক কর্মচারীগন কেউ কেউ জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন স্থানে কর্মরত থাকেন। দীর্ঘদিন পর ২০১৯ সালের শেষের দিকে কলেজটির এমপিও তালিকায় নাম আসলে কিছু শিক্ষক কর্মচারী ছুটে আসে কলেজে। এমপিও শিটে নাম আসায় দায়িত্বরত অধ্যক্ষ মাহমুদ আলম দুদু ভূয়া কমিটি দেখিয়ে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালার তোয়াক্কা না করে খেয়াল খুশিমত অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দিয়ে আসছেন। নিয়োগ বাণিজ্য এবং কেন অবরুদ্ধ? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ওই অধ্যক্ষ। এমসয় সকল প্রকার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, নিয়োগের জন্য নয় তারা চাঁদার জন্য আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। কিন্তু পরবর্তীকালে থানা পুলিশ ও সাংবাদিকদের সামনে টাকা নেয়ার বিষয় তিনি স্বীকার করে নগদ দুই লক্ষ টাকা ফেরত দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায় তিনি অবমুক্ত হয়। কিন্তু তার আগের, কমিটি ২০১০-১৮ সালের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা (বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজ, মাদরাসা এবং কারিগরী) এর নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কোন প্রমানাদি তিনি দেখাতে পারেননি। অপর দিকে ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ প্রত্যাশী খন্দকার মাহমুদ খাজা জানান, আমাকে চাকরী দিতে চেয়ে অধ্যক্ষ দুদু আমার কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা নিয়েছে। টাকা দেয়ার কিছুদিন পার হলে তিনি আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। আজকে উনি কলেজে আসলে চাকরীর বিষয়ে কথা বলি। তিনি আমাকে বিভিন্ন অজুহাত দেখালে বাধ্য হয়ে আমার পাওনা টাকার চাপ দেই। এদিকে প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অধ্যক্ষ বলে দাবী করেছেন, মফিজুর রহমান মোফা। ইতিমধ্যে তিনিও নতুন কমিটি গঠনের জন্য দৌড়ঝাপও শুরু করেছেন। মফিজুর রহমান মোফা বলেন, আমি জীবিকার তাগিদে বাইরে থাকায় উনি (দুদু) আমার স্বাক্ষর জাল করে আমার পদত্যাগ পত্র বিভিন্ন দপ্তরে পাঠায়। তিনি আরও বলেন, সে একজন প্রক্সি শিক্ষক, ২০০৭-০৮ সাল থেকে অদ্যবদী কোন কমিটি নেই, তার কোন নিয়োগ হয়নি, কিভাবে সে অধ্যক্ষ দাবী করে। সে কারনে আমি জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে এবিষয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করেছি। এবিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, আলহাজ্ব মিজানুর রহমান চৌধুরী কৃষি কলেজের নাম এমপিও তালিকায় আসায় মফিজুর রহমান মোফা নামে একজন ব্যক্তি অধ্যক্ষ দাবী করে একটি অভিযোগ দাখিল করেছে। সেখানে কোন কমিটি নাই, সেহেতু বিষয়টি আমরা সরেজমিনে তদন্ত করে একজন সিনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়ে কলেজের পরবর্তী কাজ করতে পারবো।