নোয়াখালীতে সম্পত্তির বিরোধে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা,থানায় অভিযোগ

প্রকাশিত: ৯:৪৬ অপরাহ্ণ, জুন ৫, ২০২০

নোয়াখালীতে সম্পত্তির বিরোধে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা,থানায় অভিযোগ
ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ রিপন,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের পশ্চিম বীজবাগ গ্রামে আয়েশা খাতুন (৩০) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।আহত আয়েশা খাতুন ঐ গ্রামের কেরামত আলী ব্যাপারী বাড়ীর প্রতিবন্ধী আনোয়ার হোসেন পলাশের স্ত্রী। স্থানীয় এলাকাবাসীর সুত্রে জানা যায়, সম্পত্তি বিরোধের জের ধরে পশ্চিম বীজবাগ কেরামত আলী ব্যাপারী বাড়িতে গৃহবধু আয়েশা বেগমকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে একই বাড়ির আব্দুল ওহাব মানিক,আব্দুল হালিম দুলাল ও মানিকের স্ত্রী গোলশান আরা বেগম। হামলাকারীরা সম্পর্কে আয়েশা বেগমের ভাসুর ও য্যাল হয়। ঘটনার বিবরণে আরো জানা যায়,আয়েশা বেগমের স্বামী আনোয়ার হোসেন পলাশ মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় ও তার স্বামীর কোন ভাই না থাকায় এ সুযোগে বর্ণিত বিবাদীগণ আয়েশা বেগমের স্বামীর পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি জবরদখল করার চেষ্টা করলে এ বিরোধের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তারা আয়েশা বেগম কে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত গালমন্দ করলে স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে বিষয়টি অবহিত করে আয়েশা বিচার চাইলে তারা বিচার সালিশ অমান্য করে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর ও হত্যার হুমকি দেয়। গত ৩রা জুন বুধবার ঘটনার দিন বিকেলে মানিক ও তার স্ত্রী গোলশান আরা বেগম সম্পত্তি বিরোধের জের ধরে গালমন্দ করলে আয়েশা বেগম তার প্রতিবাদ করলে বিবাদীগণ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে হাতে দা,ছেনি,কিরিচ,ধারালো চোরা,লোহার রড ও বাঁশ নিয়ে ঘরে অনাধিকার প্রবেশ করে আয়েশা বেগমের উপর হামলা করে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। ঘটনার একপর্যায়ে মানিক তার হাতে থাকা কিরিচ দিয়ে আয়েশা বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। দুলালের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আয়েশা বেগমকে পিটিয়ে ও গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায় ও পরনের কাপড় চোপড় টেনে হিঁচড়ে অর্ধনগ্ন করে শ্লীলতাহানী করে।মানিকের স্ত্রী গোলশান আরা বেগমের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে আয়েশা কে পিটিয়ে জখম করে ও তার গলায় থাকা ১২ আনা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।যার মূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা।তাকে রক্ষা করতে তার স্বামী মানসিক প্রতিবন্ধী আনোয়ার হোসেন পলাশ এগিয়ে আসলে মানিকের হাতে থাকা কাঠ দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। এবং পরে বিবাধীগণ তাদের বসতঘরের দরজা,জানালা ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। এ সময় তাদের আর্ত- চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে ও সিএনজি যোগে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে আয়েশা বেগম বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিচার চাইতে যাওয়ায় আয়েশার পরিবারকে হামলাকারীরা নানা প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন ও জীবন নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে ভুক্তভোগী পরিবার প্রাননাশের আশংকায় দিনাতিপাত করছে।

মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest