ঢাকা ১৬ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩১ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এনামুল হক বাউফল পটুয়াখালী প্রতিনিধি ।।
করোনা উপসর্গ নিয়ে আবদুস সত্তার (৭০) নামের এক ব্যক্তি রবিবার সকালে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা গেছেন। তার বাসা পৌর শহরের ৭ নং ওয়ার্ডের শান্তিবাগ এলাকায়। আবদুস সত্তার বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবসরপ্রাপ্ত স্টোর কিপার ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ আখতারুজ্জামান জানান, আবদুস সত্তার শনিবার বিকালে জ্বর ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে বাউফল স্বাস্থ কমপ্লেক্সে আসলে তাকে অক্সিজেন দেয়া হয়। এরপর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু তার পরিবারের লোকজন তাকে বরিশালে না নিয়ে ওই দিনই বাসায় নিয়ে যান। রবিবার সকাল ৭টার সময় পুনরায় তাকে জ্বর ও প্রচন্ড শ্বাস কষ্ট নিয়ে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। এরপর সকাল সাড়ে ৭টায় তিনি মারা যান। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কোভিট-১৯ স্বাস্থ্য বিধি অনুযায়ি তাকে দাফন করা হবে।এদিকে
করোনার উপসর্গ নিয়ে আবদুল জলিল ফকির (৫৫) নামের আরও এক ব্যক্তি মারা গেছেন। শনিবার রাত পৌনে ১১টায় তিনি কালিশুরী ইউনিয়নের সিহেরাকাঠি গ্রামের বাড়িতে মারা যান।
কাইয়ুম নামের স্থানীয় এক ব্যাক্তি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিষয়টি অবহিত নয় বলে জানানা। ওইদিন রাতেই ওই ব্যক্তির লাশ দাফন করা হয়েছে।
কাইয়ুম জানান, আবদুল জলিল ফকির আগে থেকেই অসুস্থ ছিল। তিনি মারা যাওয়ার কয়েক দিন আগে থেকে জ্বর, ঠান্ডা ও শ্বাস কষ্ঠে ভুগছিলেন। তার এক ছেলে ৮-১০ দিন আগে নারায়নগঞ্জ থেকে বাড়ি আসেন। তিনি চলে যাওয়ার পরই জলিল ফকিরের মধ্যে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়।
আবদুল জলিল ফকিরের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জানান, তার স্বামী লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত ছিলেন। মারা যাওয়ার আগে তাকে স্থানীয় স্লোব বাংলাদেশ নামের একটি বেসরকালী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বাড়ি নিয়ে আসার পর রাত পৌনে ১১টায় তিনি মারা যান। মারা যাওয়ার আগে তার শরীরে জ্বর ছিল।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবাবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন,‘ আমরা এ বিষয়টি অবহিত নই। তবে স্থানীয স্বাস্থ্য কর্মীর মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST