মধুপুরে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী মহল,প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা অসহায় গ্রামবাসীর

প্রকাশিত: ৭:২১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০১৯

শহিদুল ইসলাম সোহেল,ময়মনসিংহ ব্যুরোঃ টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার গোলাবাড়ি ইউনিয়নের শালিখা কুড়িবাড়ি গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া বংশাই নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলন করছে একটি অসাধু চক্র। ফলে দেখা দিয়েছে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন এবং হুমকির মুখে পরেছে বসত বাড়ী সহ আবাদী জমি। সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিনিয়ত বালি উত্তোলনের কারনে নদীর তলদেশে অতুলসমুদ্রের আকার ধারণ করছে। নদী ভাঙ্গনে আবাদী ধানের জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ড্রেজার মেশিনের আশপাশে কয়েক একর জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। এছারা ভাঙ্গনের হুমকির মুখে পরেছে গ্রামের অসংখ্য ঘরবাড়ি।শিঘ্রই অবৈধভাবে এ বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে বাড়ীঘর সহ অনেক আবাদী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে গ্রামবাসী। এমতাবস্থায় প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। সরেজমিনে প্রতিবেদনে গিয়ে জানা যায়,উপজেলার গোলাবাড়ি ইউনিয়নের শালিখা কুড়িবাড়ী গ্রামে নদীর উপর ড্রেজার বসিয়ে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে জোরপূর্বক অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে স্হানীয় প্রভাবশালী জুয়েল,কামরুল,হানু ফকির গংরা।এতে করে অপরিকল্পিত ভাবে নদীর গভীরতা বৃদ্ধির ফলে নদী গর্ভে হারিয়ে গেছে অনেক আবাদি জমি।হুমকির মুখে পরেছে বেশ কয়েকটি বসতবাড়ী।স্হানীয় ভাবে তারা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেনা অসহায় গ্রামবাসী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন গ্রামবাসী জানান,স্হানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস আমাদের কারো নেই।তারা নাকি সবাইকে ম্যানেজ করেই করছে এসব। যোগাযোগ করতে গেলে সবাই সটকে পড়ে।মুঠোফোনে কথা বলেন ফ্রেজার মালিক জুয়েল।সবাইকে ম্যানেজ করেই একাজ করছেন বলে তিনি জানান।এ প্রতিবেদককেও টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।এদিকে তাদের হাতে জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest