মোঃ সাগর মল্লিক বাগেরহাট প্রতিনিধি ফকিরহাট উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন উপজেলা।কিন্তু সঠিক ভাবে বিদ্যুৎ ডিস্ট্রিবিউশন ও বিল হচ্ছেনা।যার ফলে এই উপজেলার গ্রাহকেরা পড়েছে চরম দূর্ভোগে। হাজারো অভিযোগ থাকলে সঠিক কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ করছেনা কর্তৃপক্ষ। অজুহাতের চাদরে মুড়ে রাখছে গ্রাহকদের,আর এটাই যেন এই উপজেলার গ্রাহকদের অভ্যাসে পরিনত হয়েছে।তবে আর কত কাল এভাবে অজুহাতের চাদরে মুড়ে থাকবে।সবাই চাই সূষ্টু প্রতিকার।বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ‘গড় বিলের’ হিসাব নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার গ্রাহক। করোনাভাইরাস প্রাদুভাবের কারণে বাড়িতে বাড়িতে না গিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে অফিসে বসেই প্রত্যেক গ্রাহকের গড় বিদ্যুৎ বিল করা হয়েছে। কিন্তু এতে এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসের বিদ্যুৎ বিল প্রায় দ্বিগুণ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন হাজারো গ্রাহক। সরকারের অগ্রাধিকার উদ্যোগ বাস্তবায়নের অন্যতম প্রধান খাত হিসেবে দেশব্যাপী বিদ্যুৎ খাতের উত্তরণ এখন দৃশ্যত। লোডশেডিং, যান্ত্রিকত্রুটি, সিস্টেমলস, মিটারচুরি, সংযোগ ভোগান্তি ইত্যাদি নামের সমস্যাগুলির স্থান এখন যাদুঘরে। অথচ নানা অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও স্বেচ্ছাচারিতার গ্যাড়াকলে গ্রাহক ভোগাস্তি ও আর্থিক ক্ষতি আজও পর্যন্ত নিত্য সঙ্গী হয়ে আছে বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির হাজারো গ্রাহকেরা।বিল ভোগান্তির সত্যতা স্বীকার করে পরবর্তী মাসে তা ঠিক করে দেওয়ার কথা জানালেন কর্তৃপক্ষ। যদিও বিগত দিনের অভিজ্ঞতা থেকে কর্তৃপক্ষের এমন আশ্বাসে আস্থা রাখতে পারছেন না কোনো গ্রাহক। বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুত সমিতির ফকিরহাট জোনের টাউন নওয়াপাড়া এলাকার খালেক ঢালী বলেন, ‘আমার এপ্রিল মাসের বিল এসেছে ৭৬২ টাকা, কিন্তু মে মাসে বাড়িতে না এসে বিল করা হয়েছে ১০৬২ টাকা।’পিলজংগ গ্রামের এনামুল বলেন, এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে ৩০০ টাকা বেশি এসেছে,না এসেই মন গড়া বিল বানিয়েছে। উপজেলার টাউন নওয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুজন শেখ জানান, এপ্রিল মাসে তার বিদ্যুৎ বিল এসেছিল ৬৪৪ টাকা। কিন্তু মে মাসে বিল করা হয়েছে ১৭৭৪ টাকা। শুধু এই কজন নই পল্লী বিদ্যুত অফিসে গেলে পাওয়া যাবে হাজারো ভুক্তভোগীকে।যে তালিকা করতে হয়তো জনবলের প্রয়োজন হবে।শুধু তাই নই, হালকা বাতাস বা হালকা গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়লেই যেন বিদ্যুৎ ছুটি নেই।বিদ্যুৎ অফিসের কাছে কারণ জানতে চাইলেই বহুল প্রচলিত ডায়ালগ লাইনের কাজ চলছে। এব্যাপারে ফকিরহাট জোনের ডিজিএম আহসানুল করিমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,করোনার কারণে মিটার রিডাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে রিডিং করতে পারেনি যার কারণে গড়বিল করা হয়েছে।তবে যেসব গ্রাহকের বেশী বিল আসে ব্যাবহারের তুলনায় তারা আমাদের কাছে বললে সমন্বয় করে দিচ্ছি। আমরা চাইনা কোন গ্রাহক অসুবিধায় পড়ুক।সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে ঠিকই কিন্তু খুব দ্রুতই যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে সমাধান করবো। উল্লেখ্য ফকিরহাট উপজেলায় ৪০ হাজার গ্রাহক আর এর বিস্তৃতি ১৫০০ কিলোমিটার।
