আলোকিত সময় ডেক্স: বরগুনার বামনা উপজেলায় সাংবাদিকতার নামে দীর্ঘদিন যিনি অপসাংবাদিকতার মাধ্যমে মানুষকে হয়রানি করে আসছেন তিনি হচ্ছেন সুমন গোলদার। তিনি আজ বরগুনার ক্রোক এলাকায় পুলিশ পরিচয় দিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। সেই টাকা গ্রহণের সময় পুলিশ তাকে হাতেনাতে আটক করেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে একটি মেয়ে ও সুমন গোলদার পুলিশের এস আই পরিচয় পাথরঘাটার একটি ছেলেকে ফিটিং দেয়ি উক্ত চাঁদা আদায় অভিযোগে আজ তাকে গ্রেফতার করে বরগুনা সদর থানা পুলিশ । ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন লোককে হয়রানী ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সাংবাদিকতার পরিচয়ে চাঁদা আদায়ের অনেক অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি বামনার ডৌয়াতলার একটি স্ব-মিল থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করায় তার বিরুদ্ধে বামনা থানায় অভিযোগ দেয় ওই মিল ম্যানেজার। পরে মুচলেকা দিয়ে সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে যান। এছারাও বিগত বছর বামনার খোলপটুয়ায় বাল্যবিবাহ থেকে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবীকরে এই সাংবাদিক নামধারী সুমন। এঘটনার অডিও তখন ফেসবুকে ভাইরাল হয়। শুধু তাই নয় কয়েকদিন আগে সে দক্ষিন গুদিকাটা গ্রামে সন্তোষ ডাক্তার ও প্রিন্স নামে দুজনের কাছ থেকে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নেয়। সাংবাদিক পেশাকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে তারাই বিভিন্ন অপকর্মে জরিয়ে সমাজে নিজেদেরকে যেমন হেয় প্রতিপন্ন করে তেমনি এই মহান পেশাকে কালিমা লেপন করে। এমনি একটি ঘটনায় বামনার এই নামধারী সাংবাদিক বরগুনা পুলিশের হাতে আটক হয়ে এখন থানায়। বরগুনার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম মিলনে নেতৃত্বে সফল অভিযান পরিচালনা করার জন্য বামনা সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েেছেন।