তামাক ব্যবহারে দেশে প্রতি বছর সোয়া লাখ মানুষ মারা যায়, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার

প্রকাশিত: ৬:২৫ অপরাহ্ণ, জুন ২৫, ২০২০

তামাক ব্যবহারে দেশে প্রতি বছর সোয়া লাখ  মানুষ মারা যায়, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার

রাজশাহী ব্যুরো :
রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবির খোন্দকার বলেছেন, তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস নিতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের সবগুলো দপ্তর মিলে একত্রে কাজ করতে হবে। সবাই মিলে কাজ করলে তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সফল হওয়া যাবে এবং এ বিষয়ক লক্ষ্যগুলো পূরণ সম্ভব হবে।
বিভাগীয় কমিশনার গতকাল তাঁর কার্যালয়ে ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের আওতায় ’তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন: করণীয় বিষয়ক বিভাগীয় সেমিনার’-এ সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন। জুম এপ্লিকেশন অ্যাপের মাধ্যমে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় এ অনলাইন সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৩৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। ধুমপান ও তামাক ব্যবহারের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ। ধুমপান, তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের ফলে প্রতিবছর এক লাখ ২৬ হাজার মানুষ মারা যায়। বছরে আর্থিক ক্ষতি প্রায় ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। তিনি আরো বলেন, মানুষকে তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন করতে পারলে ফল পাওয়া যাবে। ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকের ব্যবহার শূন্যতে নামিয়ে আনার লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হবে। এজন্য এই বিষয়ক সবগুলো কমিটিকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বিভাগীয় পর্যায়ের সরকারি দপ্তরগুলোর অফিস প্রধানগণ অনলাইনে সেমিনারে অংশগ্রহন করেন। আলোচনায় অংশ নিয়ে রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে তামাকের ৮ম বৃহত্তম বাজার। ২০২৫ সালের মধ্যে এর ব্যবহার শতকরা ২৫ ভাগ কমিয়ে আনার বৈশ্বিক লক্ষ্য রয়েছে। এ লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশকেও কাজ করতে হবে। এজন্য তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে। সিগারেট এবং তামাক ও তামাক জাতীয় দ্রব্যের উপর কর আরো বাড়াতে হবে।
অনলাইনে আলোচনায় আরো অংশ নেন, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য, আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. আফরাজুর রহমান, পুলিশ সুপার রাজশাহী মো. শহিদুল্লাহ, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (রাজশাহী) অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্ল্যাহ কাজল, ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মো. আব্দুস সালাম।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest