প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করছেন ময়মনসিংহ বিআরটিএর কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা

প্রকাশিত: ৮:২৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০১৯

প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করছেন ময়মনসিংহ বিআরটিএর কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা

শহিদুল ইসলাম সোহেল,ময়মনসিংহ ব্যুরো :– নিরাপদ সড়ক আইন ২০১৮ বাস্তবায়নের পর থেকে প্রতিদিন ভিড় বেড়েই চলেছে ময়মনসিংহ বিআরটিএর কার্যালয়ে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানুষের জটলা লেগেই থাকছে। কেউ আসছেন ড্রাইভিং লাইসেন্স করাতে, আবার কেউবা আসছেন যানবাহনের রেজিস্ট্রেশনের জন্য। এ কারণে দম ফেলার সময় মিলছে না বিআরটিএ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। বিকেলে অফিস সময় পেরিয়ে রাত পর্যন্ত সেবা দিতে হচ্ছে তাদের। এমন বাড়তি চাপে হিমশিম খেলেও, বিষয়টিকে বেশ ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে কর্তৃপক্ষ। নতুন আইন অনুযায়ী, ড্রাইভিং লাইসেন্স কিংবা ফিটনেস সনদ না থাকলে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। হতে পারে ৬ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড। আগে এ অপরাধের জরিমানা ছিল ৫শ’ টাকা। একইভাবে অন্যান্য জরিমানার হারও বেড়েছে। বিআরটিএ ময়মনসিংহ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত ১১ মাসে ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন পড়েছে মোট ১১ হাজার ৪৪৯টি। এর মধ্যে সড়ক আইন কার্যকর হওয়ার পর গত ১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ১ মাসেই আবেদন করেছেন ৬ হাজার ৩৮ জন। তাদের পরীক্ষার জন্য শিক্ষানবিশ (লার্নার) কার্ড দেয়া হয়েছে। আর সব ধাপ পেরিয়ে লাইসেন্স হাতে পাবার অপেক্ষায় রয়েছেন ৮ হাজার ৯৯২ জন। বিআরটিএ ময়মনসিংহ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মো. সাইফুল কবির বলেন, ‘সড়ক আইন কার্যকর হওয়ার পর এ সার্কেলে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কাজের চাপ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেবা প্রত্যাশীদের পদচারণায় বিআরটিএ কার্যালয় সার্বক্ষণিক মুখরিত। আমাদের সীমিত জনবল নিয়েও আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’ বিআরটিএ ময়মনসিংহ সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) মো. আব্দুল খালেক বলেন, ‘ইতোপূর্বে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রতিদিন যেখানে সর্বোচ্চ ৩০-৪০টি আবেদন পাওয়া যেত এখানে এখন দুইশ থেকে আড়াইশ পর্যন্ত আবেদন জমা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ফিটনেস এবং যানবাহনের রেজিস্ট্রেশনের আবেদনও বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘এ কার্যালয়ে এসে কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন,সবাইকে সড়ক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স করা উচিত।কোন দালালের খপ্পরে না পড়ে সরাসরি আমাদের বিআরটিএর কার্যালযে় চলে আসুন। আমরা গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি।কোনো অনিয়ম চোখে পড়লে তাৎক্ষণিক কতৃপক্ষে জানানোর জন্য সকলকে অনুরোধ জানান তিনি।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest