কুড়িগ্রাম আবারও নদ-নদীর পানি বদ্ধি ধরলার পানি বিপদসীমার ৩৩ সেন্টি মিটার উপর দিয় প্রবাহিত

প্রকাশিত: ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০

কুড়িগ্রাম আবারও নদ-নদীর পানি বদ্ধি  ধরলার পানি বিপদসীমার ৩৩ সেন্টি মিটার উপর দিয় প্রবাহিত

সাইফুর রহমান শামীম,, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : ২৭.০৯.২০২০
ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে আবারও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৩ সেনিটমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে তিস্তার পানি বৃৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৩ সেনিটমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে ।
এতে নতুন করে প্লাবিত হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা। নিম্নাঞ্চলের
ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় দুর্ভাগে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। এসব এলাকার আমনসহ বিভিন ফসলের ক্ষেত গত ৪ দিন ধরে বন্যার পানিত নিমজ্জিত থাকায় নষ্টের উপক্রম হয়েছে।
নদ-নদীত পানির প্রখর স্রোতে তীব্র হয়ে উঠেছে৷ নদ-নদীর ভাঙ্গন। জেলা সদর, উলিপুর, চিলমারী, রাজারহাট, ফুলবাড়ী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজলার ৩০টি পয়েনেট ভাঙ্গনে ঘর-বাড়ি হারাচ্ছে মানুষজন।
সদর উপজলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান : দেলোয়ার হোসেন জানান, পরপর ৩ দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা নতুন করে ঘুরে দাড়ানার জন্য বাইরের জেলা থেকে আমন চারা কিনে এনে লাগিয়ছিলন। তা ৫ম দফা বন্যায় আবার নিমজ্জিত হয় পড়েছে ।
সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান জানান, আমার ইউনিয়নের ধরলা নদীর অববাহিকার ঘর-বাড়ি নতুন করেে প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি নদী ভাঙ্গনে কমপক্ষ ৭০টি পরিবার নি:স্ব হয়ে পড়েছে। ঘর-বাড়ি হারানা এসব পরিবারকে শুধু সরকারী চাল সহায়তা দেয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মাহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, জেলার বন্যা কবলিত এলাকাগুলাত ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ৮৫ মেট্রিক টন চাল, ১ লাখ টাকার শিশু খাদ্য ও ৪ লাখ টাকা গবাদি পশুর খাদ্যর জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নতুন কর ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ১০ লাখ টাকা ও ২শ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest