বছরে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর গবেষণার সুযোগ খুকৃবিতে

প্রকাশিত: ৪:৫৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০২০

বছরে পাঁচ  হাজার শিক্ষার্থীর গবেষণার সুযোগ খুকৃবিতে

গোলাম মোস্তফা খান, খুলনা
দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিকূল আবহাওয়ায় কৃষি উন্নয়নের বিপ্লব ঘটানোর লক্ষ্যে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (খুকৃবি) প্রতিষ্ঠা করেন।

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে সদ্য প্রতিষ্ঠিত খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভাড়া করা ভবন আর অতিথি শিক্ষক দিয়ে কার্যক্রম শুরু হলেও সম্প্রতি মেধা সম্পন্ন ও দক্ষ ৩০ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আপদকালীন একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য অস্থায়ী ও দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীও নিয়োজিত আছেন।

মুজিব আদর্শের সৈনিক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের স্বনামধন্য প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রহমান খান ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর উপাচার্য (ভাইস চ্যান্সেলর) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন। তিন যোগদানের পর থেকেই খুকৃবিকে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপদানের লক্ষ্যে নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন।

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আধুনিক কৃষি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ইতোমধ্যে চার কোটি ৯৩ লাখ টাকার একটি সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্প পাস হয়েছে। যার মাধ্যমে এক হাজার ৫০০ একর ভূমি অধিগ্রহণের সম্ভাব্যতা যাচাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী মাস্টার প্লান প্রণয়ন এবং খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প (ডিপিপি) তৈরিসহ প্রয়োজনীয় জরিপ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তিন হাজার ১৬৮ জনবল সম্বলিত একটি অর্গানোগ্রাম ( জনবল কাঠামো) প্রণয়ন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে। অর্গানোগ্রামটি অনুমোদিত হলে সাতটি অনুষদে ৫৩টি বিভাগে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে এবং বছরে প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী কৃষি শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা. খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার বলেন, এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহন ও আবাসন সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় নিশ্চিত করা হয়েছে। অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের ফলে করোনাকালীন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রহমান খান বলেন, গত দুই বছরে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদে শিক্ষার্থী ভর্তিসহ বিভিন্ন একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার মূল চালিকাশক্তি হলো শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি জটিলতার কারণে অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় সংবিধি প্রণয়নের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে এবং আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এ সংক্রান্ত সকল নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে।

দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কৃষিশিক্ষা ও কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। চলমান সুষ্ঠু শিক্ষা ব্যবস্থার অগ্রগতির পথে অন্তরায় এমন অনেক বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে প্রতিষ্ঠার মাত্র দুই বছরের মধ্যেই শিক্ষা কার্যক্রমের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে, যা ইতোমধ্যে দেশবাসীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest