ঢাকা ৬ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:১৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩, ২০২০
এস ইসলাম, নাটোর জেলা প্রতিনিধি।
মানব জনম বড়ই বিচিত্র। বৈচিত্রতায় এর রীতিনীতি। তেমনি জার্মান মন্ডলেরও সাধ আছে কিন্তু সাধ্য নাই। বিশ বছর আগে এক ট্রেন দূঘঠনায় দুই পা কাটা পড়লে বড় অসহায় হয়ে পড়ে তিনি।
জার্মান মন্ডল (৫০) উপজেলার নওপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও মৃত কাসেম মন্ডলের ছেলে। তার ১ছেলে ও ১মেয়ে। পৈতিক সুত্রে পাওয়া দুই শতক জমি ছাড়া আর কিছু নেই তার। দীর্ঘ দুই দশক ধরে ভিক্ষা করে সংসার চালান তিনি।
জার্মানের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম জানান, তার স্বামী ১৯৯৯ সালে দিনাজপুরের হিলিতে ধান কাটার কাজে যান ট্রেনে করে। এসময় ট্রেনের মধ্যে ছিনতাই কারীরা কবলে পড়েন তিনি। সে সময় পা পিছলে ট্রেন থেকে পড়ে তার দুই পা বিছিন্ন হয়ে যায়। সেই সময় তার স্বামীর প্রাণ বাচঁলেও জীবন যুদ্ধে টিকে থাকতে ভিক্ষাবৃত্তির পথ বেছে নেন তিনি। এছাড়া বড় ছেলের পড়াশোনা অর্থভাবে থেমে যায় ষষ্ঠ শ্রেনীতে এবং ছোট মেয়ে এবার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী, তার পড়াশোনাও বন্ধ হওয়ার উপক্রম।
জার্মান মন্ডল জানান, একটা সময় পরিশ্রমের টাকায় সংসার চলত তার। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে এখন তাকে দুই পা হারিয়ে তার স্ত্রী সন্তানসহ জীবন সংগ্রামে বাধ্য হয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করতে হচ্ছে।এখন তার অনেক বয়স হয়ে গেছে রোগে শোকে শারীরিক অবস্থাও ভাল না তাই আয় রোজগার করে সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে পড়েছে। সরকারি সহযোগিতা কিংবা কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি তার কোন কর্মসংস্থান বা স্বাবলম্বী করার ব্যবস্থা করে দিলে ২০ বছরের ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে পারিশ্রমিক জীবনে ফিরতে চান তিনি।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST