কলাপাড়ায় মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার-২

প্রকাশিত: ৮:৪১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯

কলাপাড়ায় মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার-২

মো. ওমর ফারুক, কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ১৮ ডিসেম্বর।।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধুলাসার ইউনিয়নের চরচাপলী গ্রামে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সপ্তম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রী (১৪) কে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করেন ফরহাদ খাঁ (১৯)। দুই সহায়তা কারিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। প্রধান আসামী পালিয়ে গেছে। গত ১৪ ডিসেম্বর এ ঘটনা ঘটেছে।গত মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে মহিপুর থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে মাদ্রাসা ছাত্রীর পিতা। নিযার্তনের শিকার কিশোরী বর্তমানে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মুসুল্লিয়াবাদ দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্তক্ত্য ও প্রেমের প্রস্তাব দিতো ফরহাদ খাঁ। মামা আল আমিন ও কবিরের বাসায় বেড়াতে আসা ফরহাদ বাগেরহাট জেলার শরখোলা থানার রায়েনদা খাঁ বাড়ির মনির খাঁয়ের ছেলে ফরহাদ। এতে কিশোরী রাজি না হওয়ায় গত ১৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে বারোটার পর বাসায় বাবা-মায়ের অনুপস্থিতে কিশোরী প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে বাহিরে বের হলে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা ফরহাদ ও তার দুই সহযোগী আল আমিন ও কবিরের সহায়তায় ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে ঘরের পিছনে নিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। গভীর রাতে একই বিছানায় থাকা দাদী কমলা বেগম নাতিকে না দেখে ঘরের বাহিরে এসে তাঁকে অচেতন ও বিবস্ত্র অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে।
কিশোরীর স্বজনরা জানান, এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে পরদিন এলাকার একটি প্রভাবশালীমহল কিশোরীর পরিবারকে মামলা ও ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে বাঁধা প্রদান করে এবং সালিশের আশ্বাস দিয়ে প্রধান অভিযুক্ত ফরহাদকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। কিন্তু কিশোরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ১৬ ডিসেম্বর কিশোরীকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার অবস্থার অবনতি ঘটলে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মহিপুর থানার ওসি সোহেল আহমেদ জানান, নিযার্তনের শিকার কিশোরীর পিতা থানায় মামলা দায়েরের পরই দুই আসামীকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামী ফরহাদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest