কুড়িগ্রামে সস্ত্রাসী হামলায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতার হাত কর্তনের ঘটনায় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদককে জড়ানো চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ৮:২৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২১

কুড়িগ্রামে সস্ত্রাসী হামলায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতার হাত কর্তনের ঘটনায় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদককে জড়ানো চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সাইফুর রহমান শামীম কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : ১৯.০৩.২০২১
কুড়িগ্রামে সস্ত্রাসী হামলায় সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা ও কলেজ শিক্ষক আতাউর রহমান মিটুর ডান হাতের কবজি কেটে নেয়াসহ গুরুত্বর জখম করার ঘটনায় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদককে জড়িয়ে স্লোগান ও বক্তব্য দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টায় সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন মন্জু। এ সময় জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান, পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান সাজুসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন মন্জু বলেন, গত ১৬ মার্চ ব্যক্তিগত না দ্বন্দ্বে রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নে পালপাড়ায় সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও কলেজ শিক্ষকের হাত কর্তন করে একদল সন্ত্রাসী। পরবর্তীতে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আমাকে জড়ানার চেষ্টা চলছে। আমি এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি সস্ত্রাসী হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার দাবি করছি।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি মেহদী হাসান বাঁধনের ‘বেপরোয়া’ হওয়ার পেছনে অতীতের রাজনৈতিক নেতৃত্বই দায়ী।
মিটুর ওপর হামলাকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় নেই জানিয়ে আমান উদ্দিন মন্জু বলেন, ২০১০ সালে এই বাঁধনের নেতৃত্বে যুবলীগ কর্মী উজ্জ্বলের হাত কাটা হয়। সেই হামলার বিচার না করে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হয়েছে। এবারের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা আমাদের কেউ নয়, তাদের রাজনৈতিক কোনও পরিচয় নেই।
ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মিটুর ওপর হামলার ঘটনাটি নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষ সৃষ্টি করে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার অপচষ্টা হচ্ছে জানিয়ে আওয়ামীলীগের এই নেতা বলেন, যা ঘটছে তা সস্ত্রাসী কর্মকান্ড। দীর্ঘ দিনের ব্যক্তিগত দ্বদ্ব ও পূর্ব শত্রুতার কারণে ঘটে যাওয়া একটি পাশাষিক ঘটনাকে দলীয় পর্যায়ে জড়ানো কারও জন্যই মঙ্গলজনক নয়। এতে করে দল খাটো হয়, নেতৃত খাটো হয়ে যায়।
মিটুর ওপর হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় কয়েকজন নির্দোষ ও সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক কর্মীকে জড়ানো হয়েছে দাবি করে মঞ্জু বলেন, প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক এটা আমি চাই। কিন্তু রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে গিয়ে নির্দোষ কাউকে জড়ানোর নিন্দা জানাই।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ দুপুরে জেলার রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের পালপাড়া এলাকায় সংঘবদ্ধ সস্ত্রাসী হামলার শিকার হন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মিটু। এতে তার ডান হাতের কবজি শরীর থেকে বিছিন্ন হয়ে যায় এবং অপর হাত ও দুই পা গুরুতর জখম হয়। বর্তমান মিটু ঢাকার জাতীয় র্অথাপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় গত ১৮ মার্চ মিটুর বাবা আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে রাজারহাট থানায় সদর উপজলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দা মেহেদ হাসান বাঁধনসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করন। তবে গত তিন দিনেও কোনও আসামি গ্রেফতার করতে পারনি পুলিশ। আতাউর রহমান মিটু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আলীর আপন ভাগিনা।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest