ঢাকা ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৫৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯
মোঃ হাসিম উদ্দিন, নবাবগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি। সারাদেশ যখন শীতে কাঁপছে, শীত বস্ত্র বিতরণের কত নিউজ কত মিডিয়ায় প্রকাশ হচ্ছে, কত কম্বল বিতরণ চলছে কিন্তু তাদের খবর কেউ রাখেনা। একদল রহস্যময় মানুষ। যাযাবরের মতো ঘুরে বেড়ায় এখানে-ওখানে ওরা। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় দেখা যায় এদের। দেশে দেশে বা অঞ্চলভেদে তাদের একেক নাম, আর বেঁচে থাকার জন্য বিচিত্রসব পেশা। অদ্ভুত তাদের ভাষা । বলছিলাম বেদে বা সাপুড়ে জনগোষ্টির কথা। ভ্রমণশীল বা ভবঘুরে নদী পথ নির্ভর বাংলাদেশে সাপুড়েদের বাহন ছিল নৌকা। নৌকায় সংসার, আবার নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়ানো দেশ-দেশান্তর। কিন্তু কালের বিবর্তনে অনেক নদীতে নৌকা চলার মত পানি নাই। তাই চলে না নৌকা। কিন্তু তাদের যাযাবর জীবন যাত্রা বন্ধ নাই। এখনও তারা বিভিন্ন বাহনে দেশ থেকে দেশান্তর নদী পাড়ে তাবু বেধে বাপ দাতার পেশা সাপ খেলা কিংবা তাবিজ কবজ বিক্রি করে চলে তাদের জীবিকা। এখনও তারা যাযাবর বলেই এদের জীবন বৈচিত্রময়। এমনি একটি সাপুড়ে দলের দেখা মেলে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর ব্রীজের পুর্ব পার্শ্বে নদীর পাড়ে তাবু বেধে শিশু, বৃদ্ধ সহ পরিবারের সকলকে নিয়ে বসবাসরত বেদে বা সাপুড়ে স¤প্রদায়ের জনগোষ্ঠির। প্রচন্ড শীতে যখন মানষ ঘরের ভিতরে ল্যাপ তোশকেও কাঁপছে, কাটছেনা শীত। অথচ বেদেরা নদীর পাড়ে জীবিকার তাগিতে তাবু বেধে হালকা শীত নিবারনের কাপড়ে দিনাতিপাত করছে। কথা হয় তাদের সাথে। তারা জানান শীতে দরিদ্রদের মাঝে অনেকেই শীত বস্ত্র বিতরন করে কিন্তু আমাদের ভাগ্যে জোটেনা। আমরা যেহেতু স্থানীয় না আমরা তো সাপড়ে যাযাবর, আমাদের নেই চেয়ারম্যান, নেই মেম্বর তাই কেউ আমাদের খোঁজ খবর রাখেনা, পাইনা আমরা শীত নির্বারনের জন্য শীতবস্ত্র। তারা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন তারা যেখানেই থাকনা কেন কর্তৃপক্ষ যেন তাদের খোঁজ খবর রাখেন, সহায়তা করেন।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST