অনাদরে অবহেলায় ডাংধরা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র।

প্রকাশিত: ৮:৫৯ অপরাহ্ণ, জুন ২৩, ২০২১

অনাদরে অবহেলায় ডাংধরা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র।

ফরিদুল ইসলাম ফরিদ দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি অনাদরে অবহেলায় নোংরা পরিবেশে চলছে চিকিৎসা সেবা। স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি যেনো কাঁচা তরকারি, মাছ, মাংস ও চারা গাছের বাজারে রুপ নিয়েছে। এ স্বাস্থ্য কেন্দ্র যেনো অভিভাবকহীনে পরিনত হয়েছে।

তাইতো এই ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন যাবত অনাদরে অবহেলায় পড়ে থাকায় প্রায় স্থায়ী বাজার বসেছে।
১ একর জমিতে নির্মিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি অবহেলা অনাদরে থাকার কারনে ময়লার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নেই কোন নজরদারি। নেই কোন যত্ন ও পরিচর্যা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার লোকজন জানান এটা হাসপাতাল নয় যেন পাবলিক ট্রয়লেটে পরিনত হয়েছে।
স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আঙ্গিনায় কাঁচা তরকারি, চারা গাছ, মাছ, মাংসের বাজার ও সীমানায় সৃষ্টি হয়েছে অবৈধ দোকানপাট। যা চিকিৎসা সেবার মানকে গলা টিপে হত্যা করার সামিল। চারপাশে সীমানা প্রাচীর না থাকায় অবাধে ও এলোপাথারি বসতেছে ফুটপাতের দোকান, যত্রতত্র মলমুত্র ত্যাগ করছে গরু ছাগল ও নিম্ন দৃষ্টির মানুষেরা। ডাংধরা ইউপি সদস্য আয়নাল হক এর মতে- ১৯৮৬ সালে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি স্থাপিত হয় ১একর জমির উপর। নানান কারণে অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে আছে। অবৈদধ ভাবে মাঠে দখল করে আছে নানা রকম দোকানঘর।
ডাংধরা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ সুলতান মাহমুদ জানান- আমি ২ বছর যাবৎ এখানে কর্মরত আছি, এখানে যথাযথ পরিবেশ নাই, বৈদ্যুতিক পাখা, আসবাবপত্র সহ রোগীদের অপেক্ষা কক্ষের ব্যবস্থা নাই। রোগীরা চিকিৎসা নিতে এসে বেশির ভাগই অস্থিরতা অনুভব করে।

ডাংধরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ মোঃ মাসুদ বলেন- আমি ইতিপূর্বে ডাংধরা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি, একাধিক বার পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করেছি স্যারের সাথে, একটা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যে পরিবেশ থাকার কথা তা এখানে নেই। চারপাশে বাউন্ডারি না থাকায় অবাধে মাছ, হাঁস-মুরগি ও অন্যান্য বাজার বসে, যা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টির অন্যতম কারণ। আমি রোগীদের সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষে কিছু আসবাব পত্রের ব্যবস্থা নিয়েছি, অচিরেই হয়ে যাবে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিবেশ তৈরি করতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest