জিয়া ছিলেন একজন খুনি ও বিশ্বাসঘাতক: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:০৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৪, ২০২১

জিয়া ছিলেন একজন খুনি ও বিশ্বাসঘাতক: তথ্যমন্ত্রী

জিয়াউর রহমানকে একজন বিশ্বাসঘাতক ও খুনি উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির নেতারা ক্রমাগতভাবে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে অস্বীকার করে আসছে। তারা একজন খলনায়ককে নায়ক বানানোর অপচেষ্টা চালায়। জিয়াউর রহমান ছিলেন কার্যতপক্ষে একজন খুনি ও বিশ্বাসঘাতক। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে তিনি ওতোপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন। এই খুনির দলের রাজনীতি যারা করেন তারা বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে অস্বীকার করে।

শনিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি নেতাদের খুনি এবং বিশ্বাসঘাতকের রাজনীতি ছাড়ার অনুরোধ জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, জাতির সামনে জিয়াউর রহমানের মুখোশ উম্মোচন করা হবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বাংলাদেশে যদি সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা চালু করতে হয়, ইতিহাস ও রাজনীতিকে কলুষমুক্ত করতে হয়, তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করা নিষিদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। একইসাথে যারা বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে খাটো করে দেখে এবং বঙ্গবন্ধুকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায় তাদেরও রাজনীতি এদেশে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। একজন খুনি এবং বিশ্বাসঘাতকের পক্ষে যারা রাজনীতি করেন তাদের রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিৎ নয়।

ড. হাছান বলেন, ‘আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে, যিনি ঘুমন্ত জাতিকে সশস্ত্র বাঙালি জাতিতে রূপান্তরিত করে বাঙালিদের জন্য প্রথমবারের মতো ইতিহাসের পাতায় বাংলাদেশ রাষ্ট্র রচনা করেছেন, সেই বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে অস্বিকার করা হয়, এটি পৃথিবীর কোনো দেশে নাই।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ভারতে মহাত্মা গান্ধি, পাকিস্তানে কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এবং যুক্তরাষ্ট্রে জজ ওয়াশিংটনের ভূমিকাকে খাটো করে কেউ কি রাজনীতি করতে পারবে, পারবে না। কিন্তু আমাদের দেশে পারে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে এবং অনেক স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আগে আমরা বলতাম ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ রচনা করতে। এখন বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে ইতিমধ্যে ক্ষুধাকে আমরা জয় করেছি।

হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু বহু আগেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরিকল্পনা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু জানতেন কখন কোন কথাটি বলতে হয়, তিনি পরিকল্পনা করেছিলেন, প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কিন্তু তিনি সেটি প্রকাশ করেননি। বঙ্গবন্ধু স্বাধীকার আদায়ের আন্দোলনের মাধ্যমে ৬৬ সালে ছয়দফা ঘোষণা করলেন। ছয়দফার ভিত্তিতে জনমত গঠন করলেন। জনমত গঠন করে মানুষের মনন তৈরি করে তিনি নির্বাচনে গেলেন। নির্বাচনে গিয়ে তিনি প্রমাণ করলেন বাংলার মানুষ তার ছয়দফার পক্ষে আছে। এরপর ধীরে ধীরে বাঙালিকে আরো উদ্বেলিত করে ৭ মার্চ স্বাধীনতার ডাক দেন।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest