ঢাকা ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা বলেছেন, একরাম নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি। সে একজন এমপি। এই একরাম সেই একরাম, যে একরাম বলছে ওবায়দুল কাদেরের পরিবার রাজাকার পরিবার- মদ খেয়ে, মাতাল অবস্থায়। সে সব কথা মাতাল অবস্থায় বলে। সে সারাক্ষণ মদপানে ব্যস্ত থাকে, মাতাল অবস্থায় সব সময় কথা বলে। শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে কাদের মির্জা এসব কথা বলেন।
কাদের মির্জা বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য সন্তান শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মদিনের এক অনুষ্ঠানে একরাম বলেছে, সে তার ছেলেসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে আর থাকবে না। শুধু নোয়াখালীতে না তারা সারা বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে আর থাকবে না। এর কিছুক্ষণ পর আবার ফেসবুক লাইভে এসে সাংবাদিকদের গালাগাল করে বলল- আমি এ কথা বলি নাই। অথচ ইতোমধ্যে ফেসবুকে তার কথাটা ভাইরাল হয়ে গেছে। একটা পাগল উন্মাদকে কেন এখন পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি রাখা হয়েছে জানি না।
৪৭ মিনিটের লাইভে কাদের মির্জা অভিযোগ করেন, একটা উদ্ভট মাতাল বাজে লোককে জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি বানানো হয়েছে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। নোয়াখালীকে সে কলঙ্কিত করেছে। নোয়াখালীর রাজনীতিকে সে ধ্বংস করেছে। এই ছেলে এখনো ছেলেমি করে। তার টাকা আছে এজন্য তাকে এখনো সেক্রেটারি রাখা হয়েছে।
কাদের মির্জা বলেন, নোয়াখালীর ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন; যিনি এ অঞ্চলের দায়িত্বে আছেন। যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে মাহবুবউল আলম হানিফ হস্তক্ষেপ করবেন। অন্যদের কাজ কি নোয়াখালী নিয়ে কথা বলার। টাকা খেয়ে দালালি করা। একটা অরাজনৈতিক ছেলেকে এভাবে পুনর্বাসন করা এটা লজ্জাকর ব্যাপার, দু:খজনক ব্যাপার। একটা মাতাল ছেলেকে এখানে পুনবার্সন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই নোয়াখালীর সম্মান নষ্ট করেছে একরাম। তাই বলব ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে তাকে অনতিবিলম্বে নোয়াখালীর রাজনীতি থেকে সরানো হোক। সে এখানে সেক্রেটারি হওয়ার বা কোনো পদে যাওয়ার যোগ্যতা রাখে না। সে এমপি হওয়ারও যোগ্যতা রাখে না।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST