ঢাকা ৯ আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:১৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০২১
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ওপর যথেষ্ঠ আস্থা আছে বলেই আফগানিস্তানের কিছু নাগরিককে সাময়িক আশ্রয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল আমেরিকান বাইডেন প্রশাসন। তাই যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা এই অনুরোধকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সরকারের এই মন্ত্রী। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীতে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা এটাকে দুইভাবে দেখছি। একটা হচ্ছে, ইতিবাচক। আমেরিকান প্রশাসনের আমাদের ওপর যথেষ্ঠ আস্থা আছে। তারা আমাদের মূল্যায়ন করে। এ কারণে তারা আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের কাউকে নেওয়ার মতো অবস্থা নেই। সে কারণে আমরা নতুন কোনো লোক নেওয়ার মতো অবস্থায় নেই। বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাদের এটা বলেছি। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) যে আমাদের অনুরোধ করেছে এটা হচ্ছে প্লাস পয়েন্ট।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের যদি ক্ষমতা থাকত তাহলে অবশ্যই তাদের অনুরোধ বিবেচনা করে দেখতাম। কিন্তু বাস্তবে আমাদের সেই অবস্থান নেই। কিন্তু তারা যে আমাদের অনুরোধ করেছে এটাই প্লাস পয়েন্ট।
ড. মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, আমাদের দেশে তো বহু রোহিঙ্গা রেখেছি, এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সাহায্যও করছে। তারা বলেছে, তাদের অনেক বন্ধু আফগানিস্তানে আছে, তারা তাদের অন্য দেশে সরাতে চায়। এটা খুব জরুরি ইস্যু। বাংলাদেশ যদি ওদের স্বল্পদিনের জন্য আশ্রয় দেয় তারা খুব খুশি হবে। কিন্তু আমাদেরতো সেই অবস্থা নাই।’
জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলামের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন প্রস্তাব পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রোববার (১৫ আগস্ট) রাতেই রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে জবাব পাঠায় ঢাকা।
সোমবার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার একই প্রস্তাব নিয়ে আসেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এ নিয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠকও করেন মিলার। সেখানে মিলারকে সচিব সাফ জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের পক্ষে আর একটি লোককেও নেওয়া সম্ভব হবে না।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST