ঢাকা ৮ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:২৯ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২২, ২০২১
নতুন মাদক ক্রিস্টাল মেথ (আইস) সেবন ও বিক্রির অভিযোগে রাজধানীর বনানী, উত্তরা, বনশ্রী ও খিলগাঁও থেকে ১০ জনের একটি নেটওয়ার্কের সব সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। জানা যায়, এসময় তাদের থেকে অর্ধকোটি টাকার বেশি মূল্যের ক্রিস্টাল মেথ ও ইয়াবা জব্দ করা হয়। শুক্রবার (২০ আগস্ট) বিকেল থেকে শনিবার (২১ আগস্ট) ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এই ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রো উত্তরের একাধিক টিম।
গ্রেপ্তারকৃত ১০ তরুণ-তরুণীরা হলেন, রুবায়াত (৩২), মো রোহিত হোসেন (২৭), মাসুম হান্নান (৪৯), মো আমান উল্লাহ (৩০), মোহাইমিনুল ইসলাম ইভান (২৯), মুসা উইল বাবর (৩৯), সৈয়দা আনিকা জামান ওরফে অর্পিতা জামান (৩০), লায়লা আফরোজ প্রয়া (২৬) , তানজীম আলী শাহ ও মো হাসিবুল ইসলাম (২২)।
তাদের গ্রেফতারের পর শনিবার তেজগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ফজলুর রহমান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ১০ সদস্যের এই দলটির প্রত্যেকেই ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বিদেশে উচ্চশিক্ষা শেষে ফিরেছেন দেশে।গতকাল (শুক্রবার) বিকাল থেকে শনিবার ভোর ৪টা পর্যন্ত অধিদপ্তর এই অভিযান চালায়। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আলাদাভাবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আটটি মামলা দায়ের করবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলছে, ৫০০ গ্রাম আইস থেকে ১ লাখ ইয়াবা তৈরি করা সম্ভব। সংস্থাটি বলছে, ঢাকায় ক্রিস্টাল মেথ বা আইসের কেনাবেচা নিয়ন্ত্রণ করে ৭-৮ জনের একটি দল। সেই দলের একজনকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া একটি ফোন নম্বরের সূত্র ধরে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় অভিযানগুলো চালানো হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান।
মেহেদী হাসান বলেন, প্রায় এক মাস চেষ্টার পর দলটিকে তাদের জালে ফেলতে সক্ষম হন। প্রথমে বনানী থেকে রুবায়াত, রোহিত হোসেন ও বাবর- এই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে রোহিত মালয়েশিয়া থেকে ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা পড়াশোনা করে দেশে ফিরেছেন। তার বাবার একটি মার্কেট রয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। তারা তিনজন বনানীতে মুসা উইল বাবরের ভাড়া ফ্ল্যাটে নিয়মিত মাদক সেবন ও কেনাবেচার কাজ করছেন।
মেহেদী জানান, পরে একে একে বাকি সবাইকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে গ্রেফতার ইভানের বাবা বড় ঠিকাদার ছিলেন। আরেক আসামি মাসুম হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয় নিজেদের বাসা হান্নান ভিলা থেকে। তাঁর ব্যাপারে তাঁর বোন আগেই থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বাসায় অভিযানে গেলে তাঁর পরিবারের লোকজনই মাসুমকে ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
মেহেদী হাসান আরও বলেন, তাঁদের প্রত্যেকের সাত–আটজন করে বাঁধা ক্রেতা আছে। তাঁরা ১ গ্রাম আইস ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায় কেনাবেচা করতেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কেমিস্ট শফিকুল ইসলাম সরকার জানান, ক্রিস্টাল মেথ বা আইস ইয়াবার চেয়ে ২০ গুণ শক্তিশালী।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST