সৈয়দপুরে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ঝলসে গেছে ফুটন্ত পানিতে

প্রকাশিত: ৬:৪৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯

খাদমেুল মোরসালনি শাকীর রংপুর ব্যুরো\ বাড়ির উঠানে চুলা বানিয়ে গৃহপালীত পশুর জন্য চালের খুদ সিদ্ধ করার সময় পাতিলের ফুটন্ত পানিতে ঝলসে গেছে খাদিজা ইসলাম আখি (১৩) নামে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৯টায় নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলী সমলাপাড়ায়। ঝলছে যাওয়া ছাত্রীটি বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। প্রত্যক্ষদর্শীর পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা জানান, সমলাপাড়ার খয়রাত হোসেনের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম প্রতিদিনের মত আজ সকালেও বাড়ির গৃহপালিত গরুর জন্য চালের খুদ সিদ্ধ করছিল বাড়ির উঠানে ইট দিয়ে তৈরী করা চুলায়। খড় দিয়ে রান্না করার সময় চুলার উপর রাখা পাতিল ঠিক করার জন্য মোর্শেদা বেগম তার দ্বিতীয় সন্তান খাদিজা ইসলাম আখিকে কাছে ডাকে। মায়ের ডাকে এগিয়ে এসে পাতিল ঠিক করা সময় হঠাৎ হাত ফসকে ফুটন্ত গরম পানি ছিটকে পড়ে আখির গায়ে। এতে তার শরীরের কোমর থেকে নিচের অংশ মারাত্মকভাবে ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিক গুরুত্বর আহতাবস্থায় আখিকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় দায়িত্বরত চিকিৎক দ্রুত তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ আরিফুল হক সোহেল জানান, ফুটন্ত পানিতে মেয়েটির শরীরের নিম্নাংশ ভয়াবহভাবে ঝলসে গেছে। এতে তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। সেখানে বার্ণ ইউনিটে তার ভাল চিকিৎসা হবে। তবে মেয়েটির অবস্থা বেশি ভাল না। উল্লেখ্য, খাদিজা আক্তার আখি স্থানীয় উত্তর সোনাখুলী নেছারিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এবার পিএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। আজ তার রেজাল্ট হয়েছে কিন্তু সে বা তার পরিবার ফলাফল জানতে পারেনি। এমনকি এখন পর্যন্ত বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদ আলী বা ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল চৌধুরী অথবা স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ কেউই ছাত্রীটির খোজ খবর নেয়নি বলে পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেছেন।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest