নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে : কাদের

প্রকাশিত: ৪:৪৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২, ২০২১

নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন কমিশনের অধীনে হওয়ার কথা রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে নতুন কমিশন। একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ‘সার্চ কমিটি’র মাধ্যমে বাছাই করে এটি গঠিত হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রাক্কালে নির্বাচন কমিশনের গঠন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশন ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার আগে ওই মাসের ৬ তারিখে তাদের দায়িত্ব দেন রাষ্ট্রপতি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে মরিয়া বিএনপি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিনিয়ত মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বক্তব্য-বিবৃতির মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে। আমরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও চেতনায় বিশ্বাসী সকল মানুষকে বিএনপি নেতৃবৃন্দের এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানাই।

গণতন্ত্র হত্যাকারী বিএনপির নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবি অত্যন্ত লজ্জাকর বলে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিনি বলেছিলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপির আন্দোলনের অংশ। অর্থাৎ নির্বাচনে জেতার লক্ষ্যে নয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন ছিল। যে নির্বাচনে বিএনপিসহ দেশের সকল রাজনৈতিক দলও অংশগ্রহণ করেছিল।

তিনি বলেন, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হওয়া ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের কারণে তারা জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি জনগণের উপর দায় চাপায়। নিজেদের পরাজয় আড়াল করার লক্ষ্যে নির্লজ্জভাবে তারা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিষোদগার করে আসছে। মূলত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির ওপর শুরু থেকেই বিএনপির কোন আস্থা নেই।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest