ঢাকা ২০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৩৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের বাঘারচর মৌজার আরএস ১নং খতিয়ান ভুক্ত ৪৯৩৩ নং দাগের ১.৫৩ একর জমিতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে পুকুর খনন করা হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে সত্যতা মেলে। ইউপি সদস্য মিষ্টার আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মালিকানা জমির পাশে খাস জমি আছে, আমি রাস্তার জন্য সেখান থেকে কিছু মাটি কেটেছি। এ ব্যাপারে একাধিক বার ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ মমিনুল ইসলাম কে অবগত করলেও তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা। কিন্তু তিনি নীরব থাকার কারন জানতে চায় সাধারণ মানুষ।
কেনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা সে বিষয়েও কিছু বলতে নারাজ । পরবর্তীতে ইউএনও একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ কে এবিষয়ে একাধিকবার অবগত করলেও কোন অগ্রগতি লক্ষ করা যায় নি।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মোস্তফা এর হস্তক্ষেপে উক্ত জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ বাস্তবায়নের লক্ষে জমির চারপাশে লাল পতাকা স্থাপন করে জায়গায় নির্ধারণ করেন। কালের পরিবর্তনে সাবেক ইউএনও গোলাম মোস্তফা এর বদলী জনিত কারণে পরবর্তী ইউএনও সুলতানা রাজিয়া দুয়েক বার নাড়াচাড়া দিলেও ঘটনার মোড় পাল্টে দেন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ মমিনুল ইসলাম ও ইউপি সদস্য মোঃ মিষ্টার আলী গং। শুরু হয় মাটি কাটার জমজমাট ব্যবসা। রাস্তায় মাটি দেবার নাম করে জমি হতে বেকু দিয়ে মাটি কেটে জমির চেহারা পাল্টে দেয়া হয়। সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে ধরাকে শরা ভেবেই নিজের স্বার্থ হাছিল করছে চক্রটি। বর্তমানে দুঃসাহসিকতার মাত্রা আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে। সেখানে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে চলছে জমজমাট ব্যবসা, পুকুর খনন করে দখল নিচ্ছে চক্রটি। নিরব ভূমিকায় প্রশাসন সহ সুধী সমাজ। এর কারণ কি? রহস্য কোথায়? নেপথ্যে কাজ করছে কারা? প্রশ্ন সাধারণ জনগণের।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST