সংসদে কাদের মির্জার বিচার চাইলেন জাতীয় পার্টির এমপিরা

প্রকাশিত: ১:১৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১

সংসদে কাদের মির্জার বিচার চাইলেন জাতীয় পার্টির এমপিরা

জাতীয় পার্টির নোয়াখালীর এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ এনে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার বিচার চেয়েছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির দুই এমপি। মির্জা কাদের একজন অবাঞ্ছিত লোক বলে তারা অভিযোগ করেন। বৃহস্পতিবার সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনের সমাপনী দিনে এ দাবি করা হয়। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

গত ৮ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক স্বপনকে মারধরের অভিযোগ উঠে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে। দলটির নেতারা অভিযোগ করেন, ওই দিন বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জাপা নেতা স্বপনকে বসুরহাট বাজারের কালামিয়া ম্যানশন নামের একটি বিপণি বিতানের সামনে থেকে কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার অনুসারীরা তুলে নিয়ে যান। এরপর রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পৌরসভা ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে তাকে আটকে রেখে নির্মম নির্যাতন চালানো হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবদুল লতিফকে ডেকে পাঠিয়ে তার কাছে হস্তান্তর করেন।

বিষয়টি নিয়ে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ বিরোধী চীফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, কাদের মির্জা সাহেব বিভিন্নভাবে সারা বাংলাদেশে বিতর্কিত। ওনার ভাইয়ের (ওবায়দুল কাদের) কাছে কতটুকু বিতর্কিত আমি জানি না। দলের কাছে কতটুকু বিতর্কিত আমি জানি না। কিন্তু কোম্পানীগঞ্জসহ সারা বাংলাদেশে একটা অবাঞ্ছিত মানুষে পরিণত হয়েছেন উনি।

রাঙ্গা বলেন, উনি (কাদের মির্জা) কখন, কাকে কি বলছেন আমি জানি না। জানি তিনি একটা দলের সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রধানমন্ত্রী সেই দলের সভাপতি। আমরাও বঙ্গবন্ধু কন্যা হিসাবে তাকে সম্মান করি। তিনি সবসময় ন্যায় বিচার করেন এটাই আমরা মনেকরি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী না থাকার কারণে। আমরা আপনার (স্পিকার) মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ন্যায় বিচার ও তাঁর সুচিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান করছি।

এই ঘটনা মামলা গ্রহণ করা হয়নি বলেও জানান তিনি। রাঙ্গা বলেন, বিগত নির্বাচনে অনেকগুলো আসনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সুসম্পর্কের খাতিরে নির্বাচন করি নাই। অনুরূপভাবে আমাদের অনেক আসনেও আওয়ামী লীগ কোন প্রার্থী দেয় নাই। এই সুসম্পর্কটা যাতে সঠিক থাকে সেই দৃষ্টি আমাদের সবসময় ছিলো। আমাদের প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জীবিত থাকাকালে আমাদের সেই নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, স্বপন খুবই নিরীহ মানুষ। আমাদের কথার ভিত্তিতে আসনটি (নোয়াখালী-৫) ছেড়ে দিয়েছিলেন। সেখানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেব নির্বাচন করেছেন।

ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানোর বিশেষ আইনের মেয়াদ বাড়ানোর বিলের সংশোধনীর উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে কোম্পানীগঞ্জের ঘটনার কথা উল্লেখ করে বিচারে দাবি করেন জাপার আরেক সংসদ শামীম হায়দার পাটোয়ারী ।

তিনি বলেন, মোঘল সম্রাটের সময় যখন কেউ ন্যায় বিচার পেতো না, তখন লাল কেল্লায় ঘণ্টা বাজাতো। আজকে আমরা ঘণ্টা বাজাচ্ছি সংসদে। মাঝখানে অনেকগুলো ইন্সটিটিউশন নষ্ট হয়ে গেছে। এই সংসদকেই ন্যায় বিচার করতে হবে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest