নারী হাজতখানায় পাপিয়ার সঙ্গে দুই যুবক কারা?

প্রকাশিত: ৭:১৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২২

নারী হাজতখানায় পাপিয়ার সঙ্গে দুই যুবক কারা?

নারী হাজতখানার ড্রেসিং রুমে যুব মহিলা লীগের বহিস্কৃত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়ার সঙ্গে দুই যুবকের কফি পানের আড্ডার অভিযোগ উঠেছে।

পুরান ঢাকার নিম্ন আদালতের হাজতখানায় ওই দুই যুবকের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন বলে জানা যায়।

রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের নিচ তলায় এ বৈঠক হয়।

এদিকে বিষয়টিকে তুচ্ছ বলে অনেকটা উড়িয়ে দেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা।

জানা যায়, আজ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালতে পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। এদিন সকালে তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় রাখা হয় তাদের। সকাল সাড়ে ১০টার কিছু পর তাদের এজলাসে তোলা হয়। এ মামলায় সাক্ষ্য দিতে দুইজন সাক্ষীও আদালতে হাজিরা দেন। তবে বিচারক অসুস্থ হওয়ায় এদিন সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। ভারপ্রাপ্ত বিচারক এএসএম রুহুল ইমরান আগামী ১৬ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। পরে তাদের আবার হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

দুপুর একটার দিকে হাজতখানায় সাংবাদিকরা দেখতে পান, পাপিয়া নারী হাজতখানার ড্র্রেসিং রুমে একটি বেঞ্চে বসে আছেন। তার সামনে দুই যুবক বসে আছেন। প্রফুল্ল মনে পাপিয়া কফি পান করছেন আর তাদের সঙ্গে বৈঠকে মেতেছেন। হাজতখানার ফটক বন্ধ করে কয়েকজন নারী পুলিশকে তাদের পাহারা দিতে বলে দেখা যায়। এরপর ধীরে ধীরে আদালতপাড়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা সেখানে উপস্থিত হন।

বিষয়টি টের পেয়ে হাজতখানার ইনচার্জ নৃপেন কুমার বিশ্বাস সেখানে প্রবেশ করেন। পাপিয়াসহ তিনজনকে সতর্ক করেন তিনি। এরপর সেখান থেকে বের হয়ে এসে ‘সাংবাদিকদের ম্যানেজ’ করা চেষ্টা করেন। তিনি সাংবাদিকদের সেখান থেকে সরে যেতে বলেন। তখন তার কাছে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, আদালতের অনুমতি ছাড়া এভাবে কোনো আসামির সঙ্গে বৈঠক করা যায় কিনা? তখন তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। এরপর বলেন, ‘ওই দুইজন আমাদের স্পেশাল গেস্ট।’

বিষয়টি নিয়ে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পাপিয়াকে সেখান থেকে বের করে মহিলা হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তার সঙ্গে বৈঠক করা দুই যুবক বের হন। পাপিয়ার সঙ্গে কী সম্পর্ক জানতে চাইলে প্রথমে কেউ কোনো উত্তর দিতে চাননি। পরে একজন বলেন, তার নাম রাসেল। পাপিয়া তার বোন হন বলেও জানান। কেমন ভাই জানতে চাইলে তিনি কিছু না বলে আদালতপাড়া ছেড়ে চলে যান। অপর যুবক এ বিষয়ে কিছুই বলতে চাননি।

এ বিষয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ডিসি প্রসিকিউশন (ডিসি) জাফর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মহিলা হাজতখানায় যুবক প্রবেশ করা আইন বহির্ভূত। আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবো।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest