নলছিটিতে অসময়ের বর্ষণে ক্ষতির মুখে ইটভাটা, বেকার হয়ে পড়েছেন সহস্রাধিক শ্রমিক

প্রকাশিত: ৮:৪৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৫, ২০২০

নলছিটিতে অসময়ের  বর্ষণে ক্ষতির মুখে  ইটভাটা, বেকার হয়ে পড়েছেন  সহস্রাধিক শ্রমিক
হাসান আরেফিন ঝালকাঠি প্রতিনিধি :  শীতকালীন ভারি বর্ষণে ঝালকাঠির নলছিটিতে ২৫টি ভাটার কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে ভাটাগুলোর কাঁচা ইটগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। আর এতে চরম লোকসানের মুখে পড়েছেন মালিকরা। তারা বলছেন এমন অবস্থায় আবারো কিভাবে ব্যবসায়ে ঘুরে দাঁড়াবেন তা নিয়ে দু:চিন্তায় দিন পার করেছেন। অপরদিকে ক্ষতির মুখে ভাটা বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন পেশায় জড়িত সহস্রাধিক শ্রমিক। রবিবার বিকালে সরেজমিনে উপজেলার কুশাংঙ্গল ইউনিয়নের ফয়রা গ্রামের থ্রি স্টার বিক্রস ইটভাটায় গিয়ে দেখা গেছে, মাঠে তৈরি করা কাঁচা ইট গুলো বৃষ্টির কারণে কাঁদা মাটিতে পরিণত হয়েছে। আর কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা অলস সময় পার করছেন। সেখানে উপস্থিত লেবার সুপারভাইজার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ইট তৈরির মৌসুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই দফা বৃষ্টিপাত হয়। এতে আমাদের ভাটার কমপক্ষে পাঁচ লাখ কাঁচা ইট সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। থ্রি স্টার ব্রিকসের ইট তৈরির কারিগর আবদুল কুদ্দুস জানান, অসময়ে বৃষ্টিতে পোড়ানোর জন্য প্রস্তুত করা কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ভাটা মালিকরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। যার ফলে নতুন করে ইট তৈরি কাজ শুরু করতে না পারায় শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছে। ইটভাটার মালিক ও শ্রমিকরা জানায়, পৌষের অসময়ের ভারি এবং গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাতের কারণে পানি জমে ইটগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। হঠ্যৎ বিরতিহীন ভাবে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় কাঁচা ইট ঢেকে রাখার জন্য ভাটা গুলোতে পর্যাপ্ত জীনিসপত্র না থাকায় ক্ষতির পরিমান বেশি হয়েছে। নষ্ট হওয়া ইট পুনরায় তৈরি করতে সময় এবং খরচ দুটিই বেড়ে গেছে। এদিকে কাঁচা ইট নষ্ট হওয়ার পর নতুন ইট তৈরির পর্যাপ্ত জায়গা সংকুলান না থাকায় শ্রমিকরা বেকার সময় পাড় করছেন। মালিকরা ক্ষতি পুষিয়ে উঠে কাজ শুরু করতে না পারায় বেকার হয়ে পড়েছেন এ পেশায় নিয়োজিত সহস্রাধিক শ্রমিক। এমএমআর ব্রিকসের মালিক মো. মহিদুল ইসলাম জানান, পৌষের মাঝামাঝি সময়ের অকাল বৃষ্টিতে উপজেলার ২৫টির অধিক ইটভাটার মালিকদের কয়েক কোটি কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। ইট তৈরির প্রথম মৌসুমে প্রতিটি ইটভাটায় শত শত শ্রমিক দিন-রাত একটানা শ্রম দিয়ে ইট প্রস্তুত করে। প্রস্তত করা ইট রোদে শুকিয়ে চুলি¬তে দেওয়ার আগ মূহুর্তে ভারি বর্ষণে পুরোপুরি নষ্ট হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছে প্রতিটি ইটভাটার মালিক। ইট নষ্ট হওয়ায় ইটভাটার মালিকদের কমপক্ষে কোটি টাকার ইট সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।

মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest