ঢাকা ২৪ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১১ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৬, ২০২০
আবু মুসা ষ্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী : নাটােরের বড়াইগ্রামে কচুরিপানার উপরে ভাসমান সবজি চাষে উব্দুদ্ধ হচ্ছে কৃষক। ফলে দিনে দিনে ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক সময়ের ক্ষতিকর কচুরি পানা এখন কৃষকের কৃষি পন্য উৎপাদনের বড় সহায়ক । উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ভাসমান বেডে সবজি চাষ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার বাটরা, বাঘাইট, মেরিগাছা, ধানাইদহ, তারানগর গ্রাম কচুরিপানার বেড তৈরী করে বিষমুক্ত সবজি চাষ করছে কৃষক। চাষিদের প্রয়ােজনীয় প্রশিক্ষণ, প্রনােদনা ও কারিগরি সহযােগিতা প্রদা করছে কৃষি দপ্তর। এসকল ভাসমান বেডে লালশাক, সবুজশাক, ধনিয়া পাতা, পালংশাক, গিমাকলমি, জাঙলায় লাউ ও শষার চাষ করা হচ্ছে। রবিবার সরজমিনে উপজেলার নগর ইউনিয়নের বাটরা গ্রাম গিয়ে দেখা যায় চাষী আব্দুল মজিদ বাড়ির অদুর বিলের মধ্যে কচুরিপানা দিয়ে আটটি বেড তৈরী করেছেন। সেখানে লাল শাক, গিমা কলমি, লাউ ও শষার চাষ করেছেন। তার পাশে আব্দুল বারী নামের অপর এক কৃষকও একই ফসল করছেন। চাষী আব্দুল মজিদ বলেন, ভাসমান বেডে সবজি চাষ খুবই লাভ জনক। বেডে প্রাকৃতিক উপাদান উৎপাদিত কৃষি পণ্য জৈবিক ক্ষমতা অনেক বেশি থাকে। এতে কােনো প্রকার সার ও কিটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। বিলের যেসব জমিতে এ পদ্ধতিতে সবজির চাষ করা হয় সেসব জমিত জলাবদ্ধতা ও কচুরিপানার কারণে ইতিপূর্বে কােনো ফসল হতাে না। এখন সেখান ভাসমান পদ্ধতিতে বিস্তর ফসল উৎপাদন ও বীজতলা তৈরী হচ্ছে। চাষী আব্দুল বারী বলেন, গত দশ মাস যাবত আমার এক বিঘা জমিতে ভাসমান বেডে সবজি চাষ করছি। ইতিমধ্যে খরচ বাদে আমার প্রায় এক লক্ষ টাকা আয় হয়েছে। যেটা অন্যকােনো বছর হয় নাই এবং ডাঙ্গার জমিতে সবজি চাষ করেও অনুরুপ আয় পাওয়া যায়নি। তারানগর গ্রামের অপর চাষী খাদেমুল ইসলাম বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে ভাসমান বেডে সবজি চাষ শুরু করে প্রথ বছেরই লাভবান হয়েছি। আমার দেখা-দেখি গ্রামের অনেক চাষী ইতিমধ্যে ভাসমান বেডে তৈরী করে সবজি চাষ শুরু করছে। উপজেলা কৃষি অফিসার ইকবাল আহমেদ বলেন, ভাসমান বেডে সবজি চাষ একটি লাভজনক ফসল এবং বিষ মুক্ত হওয়ায় স্বাস্থ ও জলবায়ুর জন্য উপকারী। যেসকল স্থানে সবজি চাষ হচ্ছে সেখানে কচুরীপানা ও জলাবদ্ধতার কারণে কৃষক চাষ-বাস করতে পারতেন না। ভাসমান বেড তৈরীতে কচুরী পানা ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে কচুরীপানা এক সময় পচে জৈবসার পরিণত হচ্ছে। আবার জলাবদ্ধতার কারণে ফসল উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে না।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST