ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৩৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২২
অনলাইন ডেস্ক।।
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে পঞ্চগড়ে এক নারীর দায়ের করা মামলায় কুড়িগ্রাম সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিলের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার বিকেলে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে বুধবার দুপুরে মামলায় হাজিরা দিতে এসে বিয়ে করার শর্তে জামিন আবেদন করেন এসআই জলিল। আদালত বিয়ের শর্তে তার জামিন আবেদনে সন্তুষ্ট হয়ে জামিন মঞ্জুর করেন। পরে জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনে ৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা দেনমোহরে ওই নারীকে বিয়ে করেন পুলিশের এসআই আব্দুল জলিল।
গত ২৩ জানুয়ারি ওই মামলায় এসআই জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে তিনি উচ্চ আদালতের রায়ে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। তার জামিনের মেয়াদ শেষ হলে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে রোববার (২০ মার্চ) আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে তদন্ত করতে গিয়ে এসআই আব্দুল জলিল বিধবা ওই নারীর সঙ্গে ‘প্রেমের সম্পর্ক’ গড়ে তোলেন। এরপর তিনি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার তার সঙ্গে ‘শারীরিক সম্পর্ক’ গড়ে তোলেন।
ভুক্তভোগী নারী তাকে বিয়ের কথা বললে তিনি অস্বীকার করেন। এরপর ওই নারী ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর পঞ্চগড় নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, এতদিন আমি জলিলের কাছে স্ত্রীর স্বীকৃতি পাইনি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালতে মামলা করার পর আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী মেহেদী হাসান মিলন বলেন, আমরা আদালতের রায়ের প্রতি সন্তুষ্ট। মামলায় আমি ও আমার মক্কেল ন্যায় বিচার পেয়েছি।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST