গরমে শীতলপাঠি তৈরিতে ব্যস্ত নলছিটির পাটিকররা

প্রকাশিত: ৯:৫৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৩, ২০২২

গরমে শীতলপাঠি তৈরিতে ব্যস্ত নলছিটির পাটিকররা

এম কে,কামরুল ইসলাম নলছিটি ,

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কামদেবপুর ও গোপালপুর গ্রামের পাটিকররা শীতল পাটি তৈরিতে খুব ব্যস্ত সময় পারকরছে । প্রতি বছর গরমকাল এলেই শীতলপাটির চাহিদা বেরে যায় অনেকগুণ । এতে ব্যস্ত হয়ে পরে এ কাজে সাথে জরিতরা। ঝালকাঠি জেলার ব্যান্ডিং পণ্য শীতলপাটি এখানের চাহিদা পূরন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে ।
বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এখান থেকে শীতলপাটি সংগ্রহ করে নিয়ে বিক্রি করে থাকে। মুর্তা গাছ কেটে বেতি বের করে রৌদে শুকিয়ে শীতলপাটি তৈরি করা হয় । শীতলপাটি নামটা শুনলে বোঝাযায় এর উপরে শুলে গরমে ঠান্ডা অনুভূত হওয়ার একটা প্রচলনা রয়েছে । ঘরের বিছানায় চাদরে উপরে বিছিয়ে গরমের সময় ঘুমানোর জন্য স্বস্তিদায়ক বলে শীতলপাটির কদর যুগ যুগ ধরে । গ্রামীন এই ঐতিহ্যবাহী পণ্যটি এখন বিদেশেও চাহিদা রয়েছে । এ কাজে পরিশ্রম ও সময় ব্যয় করতে অনেক সে অনুযায়ি আয় না হওয়ায় অনেকে শীতলপাটির তৈরির কারিগর পাটিকররা অন্য পেশায় চলে গেছে । বংশ পরমপরায় অনেকে বাব দাদার এই পেশাকেই ধরে রাখতেই শুধু মাত্র এ কাজে জরিত রয়েছে । এক সময় দেশে ছিলো শীতল পাটির অনেক খ্যাতি । বর্তমানে পেলাস্টিকের পাটির বাজারে ছয়লাব হওয়ায় অনেকটা গুরুত্ব কমে গেছে শীতল পাটির । পাটিকররা জানান বাংলাদেশে এই শিল্পের সাথে যারা জরিত তারা বেশির ভাগই দরিদ্র ও অবহেলিত । এছাড়া বাজারজাত ব্যবস্থাপনা সহজতর না হওয়ায় দিন দিন এ শিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে । সরকারে অন্যান্য শিল্পের মতো এ শিল্পের দিকে একটু নজর দেয়া উচিত । এব্যাপারে নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুম্পা সিকদার বলেন শীতলপাটির তৈরির কাজের সাথে যারা জরিত আছে তাদের যে কোন প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসন সহযোগিতা করার চেস্টা করবে ।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest