তরমুজের খরিদ্দার নেই,কোটি কোটি টাকার তরমুজ মাঠে।দাকোপের তরমুজ চাষীদের কান্না।

প্রকাশিত: ৫:৪৪ অপরাহ্ণ, মে ১০, ২০২২

গোলাম মোস্তফা খান,দাকোপ,খুলনা

মাত্র সপ্তাহের ব্যবধানে সব আশাভরষা শেষ হতে চলেছে শত শত তরমুজ চাষীদের। দাকোপের সদর চালনা,পানখালী এলাকাসহ ৩১,৩২ নং পোল্ডারের অধিকাংশ এরাকার চাষীদের লক্ষ লক্ষ টাকা লাভের আশার কাঙ্খিত তরমুজের ফলন শেষ পর্যন্ত মোটামুটি ভাল হলেও তরমুজ কেনার কোন খরিদ্দার নেই।শত শত বিঘার তরমুজ মাঠে গড়াগড়ি খাচ্ছে। আগামী ৫/৭ দিনের মধ্যে যদি কৃষকরা যে কোন উপায় ক্ষেতের সকল তরমুজ তুলতে না পারে তবে কোটি কোটি টাকার তরমুজ পচে নষ্ট হয়ে মাটির সাথে মিশে যাবে বলে অভিজ্ঞ সকল মহলের মত। শেষ রমজান পর্যন্ত মােটামুটি চাহিদা থাকায় বাজুয়া এরাকার তরমুজ দেদারছে বিক্রি হয়ে যায়,গোটা দাকোপ মিলিয়ে অবিক্রিত থাকে ৫৫% তরমুজ ক্ষেত ঈদের ২/৩ দিন পর হঠাৎ দরপতন, যেখানে বিঘা ১লক্ষ ২০/৩০ থেকে দেড়লক্ষ টাকায় বিঘা বিক্রি হয়ে আসছিল হঠাৎ আর কেউ ক্ষেত কিনতে চায় না, বিঘা প্রতি মুল্য বলে মাত্র ২০/২৫ হাজার,এর ২ দিন পর অর্থাৎ গত ২/৩ দিন। আর কোন খরিদ্দার নেই। দামও বলছে না।কৃষকরা হতাশ হয়ে ১০০ হাত মাটির নিচে বসে যায়।এক প্রকার জ্ঞান শুন্য হয়ে কান্নাকাটিও শুরু করে।ধারদেনা লোন নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে যদি বিঘা প্রতি একটি টাকারও তরমুজ বিক্রি না হয় মরা ছাড়া গতি কি ? হাজারো তরমুজ চাষিদের এমন অবিযোগ।অনেকে উপায়ান্ত না পেয়ে ট্রাক ভর্তি করে ঢাকা,খুলনা,বগুড়া,সিরাজগনজ,
চট্রগ্রাম,
যশোরে তরমুজ বিক্রি করতে গিয়ে আড়ৎদারদের কারসাজিতে একটি টাকাও পায়নি।উপরন্ত ট্রাকভাড়া না দিতে পেরে অনেক চাষি রাতের আধারে পালিয়েছে বলে জানা গেছে। বরনপাড়া,পোদ্দারগ্ঞে নদী পারাপার,বাড়তি আদায়,বড় ট্রাক ডুকতে না দেওয়াসহ নানা জটিলতার কারনে চাষিদের আজ এই কান্না,ব্যবসায়ীদের এই দুর্ভোগ। তরমুজ চাষে মারাত্তক ক্ষতির শিকার আনন্দনগর গ্রামের শেখ আবু সাঈদ,আনিসুর রহমান বাবুল,হরিনটানার দেবু সরকার,ছোটচালনা গ্রামের শেখ কামরুজ্জামান,মনিরুজ্জামানের সাথে আলাপ করে এমন সব বাস্তব তথ্য পাওয়া যায়।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest