আরিফুল ইসলাম ,জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা: শীতের সময় গর্ভধারিনী মায়ের কষ্ট লাঘব করতে না পেরে নিদারুণ কষ্ট বুকে নিয়ে চলছে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আনিস বয়াতি। চারিদিকে ঘন কুয়াশা,বইছে ঠান্ডা বাতাস, ভাঙ্গা ঘরে ঠান্ডায় কাপছে গর্ভধারিনী মা ও তার কন্যা শিশু সন্তান। সারাদিন চেয়ে চিন্তে যা পাই তা দিয়ে খাদ্যের ব্যবস্থাই হয়না শীতের কাপড় কিনবো কি দিয়ে। মা ও মেয়ের কষ্ট দেখতে পাই না তবে শীতে কষ্ট যখন নিজেও ভোগী তখন মনের কষ্টে বুক ফেটে যায় । কেমন সন্তান আর বা কেমন বাবা আমি, মা ও মেয়ের শীত নিবারণ করার সামর্থ্য আমার নেই । কি করে থাকবে, আমি যে অন্ধ। কাজ কাম করতে পারি না চেয়ে চিন্তে ২ কেজি চালের টাকা জোগাড় করাই যেন পাহাড় সমান বোঝা সেখানে শীতের কাপড় কিনবো কি করে। ছোটকালে বাবা, মাকে তালাক দেয়, সেই হতে নানা বাড়িতে তিন শতক জায়গায় একটি ভাঙ্গা ঘরে বসবাস। ঘরটি কখন জানি ভেঙ্গে পড়ে যায় ঠিক নেই, শুনছি সরকার দরিদ্র মানুষ গুলোকে নতুন বাড়ি করে দিচ্ছে আর আমরা দরিদ্র সীমার সর্ব নিম্নে থেকেও আজ ঘর থাকলো দুরের কথা, সামান্য শীতের কম্বল পাই না। কষ্টে বুক ফেটে যায় চোখের পানি মুখেই শুকায় কারো দয়াও হয় না । কতজনের কাছে গেলাম কেউ একটা কম্বল দিলো না কারো কাছে পেলাম না একটি কম্বল। কি করে মা ও মেয়ের শীত নিবারণ করবো ভাঙ্গা ঘরটি ঠিক করবো। এভাবেই বলছিলেন আর চোখের পানি মুছছিলেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আনিস বয়াতি । গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ১নং কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সুলতানপুর বাড়াইপাড়া গ্রামে মা কোহিনুর বেগম (৬০), মেয়ে হানিফা খাতুন (৭) কে নিয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বয়াতি আনিসের বসবাস। স্ত্রী এতোসব কস্ট সহ্য করতে না পেরে স্বামী ও শিশু কন্যা সন্তানকে রেখে বাবার বাড়ি চলে গিয়ে পরে ২য় স্বামীর পানি গ্রহণ করে। সারাদিন ঢোল বাজিয়ে মানুষকে গান শুনিয়ে চেয়ে চিন্তে যা পায় তাই নিয়ে এ তিন সদস্যের পরিবারটির মানবেতর জীবন-যাপন। জেলার চারিদিকে শীত যেন জেঁকে বসেছে। এ শীতে একটি ভাঙ্গাচুরা টিনের ঘরে এ পরিবারটির বসবাস। শীতের দিনে একদিকে যেমন শীত বস্ত্রের সংকট, অপরদিকে রয়েছে বাসস্থান সংকট। বসবাসের একমাত্র ঘরটি ভাঙ্গাচুরা হওয়ায় রাতদিন ঘরটিতে বাতাস প্রবেশ করে এতে ঘরটি বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে তাদের । স্থানীয়রা জানায়, পরিবারটি পরের বাড়িতে চেয়ে চিন্তে জীবন নির্বাহ করে বসবাস করার ঘরটি কখন জানি পড়ে যায়। অসহায় পরিবারটির পাশে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সমাজের বিত্তবান মানুষের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। সাহায্য পাঠাতে পারেন ০১৭২৩-৬৯৩৮৫০ ( বিকাশ) আনিস বয়াতি।