মোবাইল ব্যাংকিং উপায়’র ব্যানারে সুদের ব্যাবসার অভিযোগ

প্রকাশিত: ১০:৩৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৭, ২০২২

মোবাইল ব্যাংকিং উপায়’র ব্যানারে সুদের ব্যাবসার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : মানুষের জীবন মান সহজ করে দিয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং। ২০০৯ সালে দেশে ডাস বাংলা ব্যাংকের অধিনে যাত্রা শুরু করে রকেট। মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বাংলাদেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলে মানুষের দৌড়গরায় পৌঁছে যায়।

 

ইউসিবি ব্যাংকের অধিনে মোবাইল ব্যাংকিং যাত্রা শুরু করে উপায়। মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ম নীতি তোয়াক্কা করে নিজের মনগড়া নিয়ম বানিয়ে উপায় এজেন্টদের সাথে প্রতারণার অভিযোগ বরিশালের ডিস্ট্রিবিউশন হাউজের নামে। ডিস্ট্রিবিউশনের মালিক এডডিএল মটরস এর স্বত্ত্বাধিকারী শুভ। তার বিরুদ্ধে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা উপায়ের ব্যানারের রমরমা সুদের ব্যবসার অভিযোগ উঠছে।

 

বরিশালের এসডিএল ডিস্ট্রিবিউশনের ম্যানেজার মোঃ রানা এবং ডি এস ও মামুন খানের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছে জানাজায় এই চক্রের প্রধান ডিস্ট্রিবিউশন হাউজের মালিক শুভ, মাঠ পর্যায় কাজ করেন ডিএসআর মামুন খান।

 

বরিশাল নগরীর স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ীদের লক্ষ করে ডিএসআর মামুন খান প্রথমে মোবাইল ব্যাংকিং উপায় এর এজেন্ট খোলার জন্য প্রস্তাব দেয়। এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য তাদের কাছে থেকে নেওয়া হয় টেড্রলাইসেন্স,জাতীয় পরিচয় পত্র,ছবি।

 

তথ্যসূত্রে জানাজায়, ডিএসও মামুন খান নতুন উপায় এজেন্ট ব্যবসায়ীদের বলেন ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ নতুন হওয়াতে বিক্রি কম তাই এজেন্টদের ক্যাশ টাকায় বাঁকিতে লেনদেন করার প্রস্তাব দেন। মামুন খান এজেন্টকে উপায় ডিস্ট্রিবিউশন হাউজের ক্যাশ টাকার লেনদেনের সুবিধায় বলেন এজেন্ট একাউন্ট থেকে টাকা এটিএম বুথ থেকে উঠাতে যে প্রতি হাজারের ৮ টাকা খরচ হয় ক্যাশ টাকায় লেনদেন করলে সেটা লাগবে না। এজেন্টদের ক্যাশ টাকা দেওয়া হয় থাকে আর এক লক্ষ টাকার বিপরীতে প্রতিদিন ৮০০ টাকা উপায়ের ডিএসআর মামুন খান দাবি করেন। তাতে এজেন্টদের কাছ থেকে ৮০% হারে সুদ নেওয়া হয়। উপায় এর ডিএসও জানান খরচের টাকা দিয়ে প্রতিদিন আমরা হাউস টু হাউস লেনদেনটি করে নিব। তবে আমাদের ডিস্টিশনের ক্যাম্পেইন সফল হলে আপনাকে ৩ মাস পর পর আপনার খরচের ৩ এর ১ অংশ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। এই নগদ টাকার লেনদেন করার জন্য এজেন্টদের কাজ থেকে জামানত হিসেবে লিখিত চুক্তি থাকার কথা থাকেও তা না করে তাদের কাছ থেকে শুধু ১টি ব্ল্যাংক চেক নেওয়া হয়।

 

অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে বরিশাল নগরীর বাংলাবাজার, বেলতলা পলাশপুর, রহমতপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছু ভুক্তভোগী। তাদের ভিতরে বাংলাবাজারের ব্যবসায়ী ভুক্তভোগী স্বপন সরদার জানান মামুন খান উপায় এজেন্ট খুলে দেয় তার পরে আমাকে বলেন তাদের হাউজ নতুন বিক্রি কম, বিক্রি বাড়ানোর জন্য হাউজ কতৃপক্ষ বাকিতে ক্যাশ টাকার লেনদেনের সুবিধা দিবে। এজেন্টদের বাকিতে ক্যাশ টাকা লেনদেনের জন্য ডিস্ট্রিবিউশন হাউজকে লাখে আটশত টাকা সুদ দিতে হবে বলেন। তার সর্ত অনুযায়ী কিছু দিন লেনদেন করলে আমার কাছে সন্দেহ মনে হলে ডিস্ট্রিবিউশন হাউজকে জানাই কিন্তু তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। অফিসে জানানোর কারনে ডিএসআর মামুন আমার উপরে ক্ষেপে যায়, তার কাছে জামানত হিসেবে দেওয়া ব্ল্যাংক চেক দিয়ে মামলা দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। চেক উদ্ধারের জন্য আমি আদালতে মামলা করেছি। স্বপনের মতো আরো দুইজন ভুক্তভোগী পাওয়া যায় তারা হলেন বেলতলার ব্যবসায়ী শাওন, অপর আরএক ব্যবসায়ী হলেন গীর্জাহমল্লাহর ইমন। জানাজায় তারাও দুজন চেক উদ্ধারের জন্য আদালতে মামলা করেছেন।

 

এ বিষয়ে আরো জানাজায় উপায় ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ ডিএসআর মামুন খানের মাধ্যমে এজেন্টদের ১ লক্ষ টাকা থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্য়ন্ত বাকি ক্যাশ টাকা দিতো। নগদ অর্থ দেওয়া কারনে তাদের কাছ থেকে শতকরা ৮০ % সুদ নিতো উপায় ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ। এভাবে কাউকে এজেন্ট খুলে দেয় আবার কাউকে এজেন্ট না দিয়ে সরাসরি প্রদান করে বাকিতে লেনদেন করার জন্য ক্যাশ টাকা। প্রতি লাখে ৮০০ টাকা করে। ডিএসও মামুন খান ডিস্ট্রিবিউশনের বিক্রি বাড়ানোর জন্য তার নিদিষ্ট রুট রেখে অন্য রুটের ব্যবসায়ীদের ক্যাশ টাকা প্রদান করেন। যেটা এমএফএস নিয়মের বাহিরে।

 

তথ্যসূত্রে জানাজায়, ডিএসও মামুন খান এর মার্কেট বকেয়া যখন এজেন্ট ছাড়া ৬লক্ষ রুট বহির্ভূত ১লক্ষ, তার নিদিষ্ট ২ ব্যবসায়ীর কাছে লক্ষ মোট ৯ লক্ষ। হিসাব অনুযায়ী তার প্রতি দিন এর বিক্রির পরিমান ৯ লক্ষ এর বেশি। অনুসন্ধানে দেখা গেছে তার প্রতি দিন বিক্রির পরিমান ২ লাখ থেকে ২ লাক্ষ ৫০ হাজার এর মধ্যে। উপায় এজেন্টদের কাছ থেকে এভাবে তারা ৪০ লক্ষ টাকার মত ডিজিটাল প্রতারণার মাধ্যমে সুদ নিয়েছে।

 

উপায়ের প্রতারণার স্বীকার ভুক্তভোগী পলাশপুরের এক ব্যবসায়ী এনায়েত হোসেন লোকমান জানান উপায় এর এজেন্ট না করে তার সাথে উপায়’র ব্যানারে সুদের ব্যবসা করেন মামুন উপায় এর ডিএসও মানুন খান বলেন তাদের হাউজ নতুন, হাউজের বিক্রির বৃদ্ধির জন্য বাঁকিতে ক্যাশ টাকা দিয়ে লেনদেন করবে। বিনিময়ে লাখে আটশত টাকা করে সুদ দিতে হবে। তার কথায় রাজি হয়ে লেনদেন করি এবং আমার কাছ থেকে ১ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা সুদ দেওয়া হয়। আমি এজেন্ট খোলার চাপ দিলে মামুন খান ঘুরায় তার লেনদেন সন্দহ হলে হাউজ কতৃপক্ষকে জানালে তারা বিষয় টা আমলে নেয় না।

 

অভিযুক্ত মামুন খানের কাজ থেকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ নতুন সেল টার্গেট পুরোনের জন্য কিছু এজেন্টকে বাঁকিতে ক্যাশ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু লাখে আটশত টাকা করে সুদ নেওয়ার বিষয় টা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। উপায় যেখানে ১ লক্ষ টাকা লেনদেন হলে ৪ টাকা কমিশন দেয় এজেন্টকে। সেখানে লাখে আটশত টাকা সুদ নেওয়ার কোন যুক্ত নেই। এজেন্টদের বাকি টাকা পরিশোধ করার নিয়ম থাকলেও তারা ঘুরাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে হাউজ।

 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপায় এরিয়া ম্যানেজার জামান জানান এই বিষয়ে আমি অবহিত নেই।হাউজ ম্যানেজার, ডিএসও’র নামে এধরণের যদি কোন অভিযোগ থাকে সেটা দেখার দায়িত্ব ডিস্ট্রিবিউশন মালিকের।

 

ভুক্তভোগীদের বক্তব্য হলো যেখানে এক লক্ষ টাকায় মাসে ৮শত টাকা করে সুদ নিছে। বোকা বানিয়ে লেনদেনের কথা বলে যে পরিমাণ টাকা সুদ নিয়েছে সকল টাকা তারা ফেরত দেওয়া হোক দ্বাবী।

 


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest