আজ হিলি ট্রেন ট্র্যাজেডি দিবস

প্রকাশিত: ১:৩৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০২০

আজ হিলি ট্রেন ট্র্যাজেডি দিবস

মোঃ লুৎফর রহমান হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : আজ দিনাজপুরের হিলি ট্রেন ট্রাজেডি দিবস। ১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি (শুক্রবার) হিলি রেলস্টেশনে দেশের সব বড় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা যান ২৭ জন। তবে আজও আহত ও নিহতের পরিবার তিপূরণ পায়নি। এমনকি আজও আলোর মুখ দেখেনি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন। বাংলাহিলি রেলওয়ে একতা কাবের তৎকালীণ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বুলুসহ কয়েকজন প্রত্যদর্শী ও হিলি স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি শুক্রবার রাত সোয়া ৯টায় রেল ক্রসিংয়ের উদ্দেশে স্টেশনের ১ নম্বর লাইনে দাঁড়িয়েছিল গোয়ালন্দ থেকে পার্বতীপুরগামী ৫১১ নম্বর লোকাল ট্রেন। তবে সে সময়ের দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টসম্যানের অবহেলার কারণে একই লাইনে ঢুকে পড়ে সৈয়দপুর থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ৭৪৮ নম্বর আন্তনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি। এতে দুইটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় লোকাল ট্রেনটির ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি দুমড়ে মুচড়ে যায়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় রেলওয়ে একতা কাবের সদস্যসহ স্থানীয়রা দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের উদ্ধার করেন। প্রত্যদর্শীদের মতে, ভয়াবহ এই ট্রেন দুর্ঘটনায় দুটি ট্রেনের অর্ধশতাধিক যাত্রী নিহত হয়। আহত হয় দুই শতাধিক যাত্রী। নিহতদের অনেকের দেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে থাকে। পরে স্থানীয় মানুষ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোকজনের সহায়তায় লাশ উদ্ধারসহ আহতদের দ্রæত উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। সেসময় সরকারি ভাবে নিহতের সংখ্যা ২৭ জন ঘোষণা করা হয়। আর আহতের সংখ্যা বলা হয় শতাধিক। দুর্ঘটনার পরদিন ১৪ জানুয়ারি দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি সেসময় ঘোষণা দিয়েছিলেন নিহত ও আহতদের পরিবারকে তিপূরণ দেওয়া হবে। গঠন করা হবে তদন্ত কমিটি। কিন্তু দুর্ঘটনার ২৫ বছরেও আহত ও নিহতদের অনেক পরিবার সেই তিপূরণের টাকা পায়নি। সেই সঙ্গে আজও তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ হয়নি। এদিকে প্রতিবারের ন্যয় এবারও স্থানীয় রেলওয়ে একতা কাবের উদ্যোগে কলো ব্যাচ ধারণ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest