তেঁতুলিয়া বাংলাবান্ধায় স্বাধীনতা দিবসে বিজিবি-বিএসএফ যৌথ রিট্রিট প্যারেড

প্রকাশিত: ২:২৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৭, ২০২৩

তেঁতুলিয়া বাংলাবান্ধায়  স্বাধীনতা দিবসে বিজিবি-বিএসএফ যৌথ রিট্রিট প্যারেড

জুলহাস উদ্দীন উপজেলা প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকী উদযাপনকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথ রিট্রিট প্যারেড অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রবিবার (২৬ মার্চ) বিকেলে বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তের পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ও ভারতের ফুলবাড়ী সমন্বিত আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের (আইসিপি) জিরো লাইলে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে জমকালো যৌথ ‘রিট্রিট সিরিমনি’ প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতি বছর ২৬ মার্চ বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিএসএফ (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স) উভয় দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে এ প্যারেডের আয়োজন করে থাকে।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশ-ভারতের জনগণের মধ্যে যে বন্ধুপ্রতীম ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত হয়েছিলো সেই ভাতৃত্ববোধ প্রসারণের পাশাপাশি উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য বাড়ানোর অংশ হিসেবে এ ‘রিট্রিট সিরিমনি’ অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাবান্ধা আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট নোম্যান্সল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মজাহারুল হক প্রধান। ‘রিট্রিট সিরিমনি’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিজিরি অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেশ বেনজীর আহমেদ ও ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিএসএফ’র নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি শ্রী অজয় শিং। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঠাকুরগাঁও সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল জিয়া সাদাত খান, নবাগত সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এম এইচ হাফিজুর রহমান, ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহফুজুল হক ও বিএসএফের মধ্যে বিএসএফের শিলিগুড়ি সেক্টরের ডিআইজি শ্রী নির্মান সিং আউজলা, ১৭৬ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক এস এস সিরোহী উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি-বিএসএফ এর বিভিন্ন পর্যায়েররে কর্মকর্তাসহ পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদাসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে দুই দেশের সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় রাজনৈতিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সদস্যগণ এবং বিভিন্ন স্থান হতে আগত পর্যটকগণ উপস্থিত ছিলেন। অতিথিদের আগমনের পর ভ্রাতৃত্বের সেতু বন্ধনের অংশ হিসেবে বিজিবি-বিএসএফ প্যারেড কন্টিনজেন্ট চমকপ্রদ ও মনোমুগ্ধকর প্যারেড প্রদর্শন করেন।

প্যারেড শেষে বিজিবির উত্তর-পশ্চিম রিজিয়নের কমান্ডার এবং বিএসএফের নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি বিজিবি ও বিএসএফ কন্টিজেন্টের সাথে ফটোশেসনে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সংসদ সদস্য মো. মাজহারুল হক প্রধান এ ধরণের অনুষ্ঠান দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ও মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি এই মহতী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে রিজিয়ন কমান্ডার, বিজিবি এবং আইজি বিএসএফকে ধন্যবাদ দিয়ে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়াও রিজিয়ন কমান্ডার, বিজিবি এবং আইজি বিএসএফ তাদের বক্তব্যে এই স্মরণীয় দিনটিকে আরও গৌরবান্বিত করার লক্ষ্যে দুই দেশের বন্ধুত্বের এই নিদর্শন যৌথ রিট্রিট প্যারেডের আয়োজনকে সাধুবাদ জানান।
স্বাধীনতা দিবসে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে নোম্যান্সল্যান্ডে কুচকাওয়াজ, জাতীয় পতাকা নামানো, মিষ্টি ও উপহার সামগ্রী তুলে দেয়া হয় বিএসএফ কর্মকর্তাদের হাতে। বিজিবি-বিএসএফ ঐতিহাসিক জয়েন্ট রিট্রিট সেরিমনিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য স্মারকচিহ্ন বিনিময়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest