ঢাকা ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:৫১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০২০
উত্তম চক্রবর্তী,মণিরামপুর(যশোর)অফিস৷৷ যশোরের মণিরামপুরে শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে কৃষকদের ধানের চারা কিনে খেতে রোপন কর হবে। এতে কৃষকেরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। পাশাপাশি তাদের শ্রম ও সময়ের অপচয় হচ্ছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়- এবছর মণিরামপুর উপজেলায় বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে মোট ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাইব্রিড ৮ হাজার ও উচ্চ ফলনশীল ২০ হাজার হেক্টর জমি। মণিরামপুর উপজেলা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে- বোরো আবাদ সফল করার জন্য বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। শীত-কুয়াশা থেকে রক্ষা করতে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেঁকে দিচ্ছে কৃষকরা। আবার গরু-ছাগলের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য অনেক কৃষক খেতের চারপাশে নেটজালের বেড়া দিয়ে রেখেছে। চারার আকৃতি বীজতলা ভেদে বিভিন্ন রকমের হয়েছে। দেখা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত খেতগুলোয় চারা তুলনামূলক ভাবে কম গজিয়েছে। চারা গুলো কিছুটা হলদেটে ভাব বা সাদা সাদা। উপজেলার রাজগঞ্জের ঝাঁপা ইউনিয়নের হানুয়ার গ্রামের কৃষক মফিজুর রহমান প্রতিনিধিকে বলেন- তার প্রায় ৩ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপনের জন্য বীজতলা তৈরি করেন। সেই বীজতলা অনেকটা তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। বীজতলায় যে চারা আছে, তাতে প্রায় ৩ বিঘা জমিতে রোপণ করা হবে না। বিধাই চারা কিনেই জমি রোপণ করতে হবে। এবারও মণিরামপুরের কৃষকেরা বিভিন্ন জাতের ধানের চারা লাগিয়েছে। কিন্তু অনেক বীজতলায় চারা ঠিকমত গজায়নি। এজন্য বাড়তি টাকা গুনতে হবে। ইউনিয়ন ভিত্তিক কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিনিধিকে জানান- আবহাওয়া ভালো থাকলে এসব সমস্যা হতো না।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST