দুমকিতে খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ ও বাঁধ আটকে বেড়ায় মানববন্ধণের প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ২:০০ অপরাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০২৪

দুমকিতে খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ ও বাঁধ আটকে বেড়ায় মানববন্ধণের প্রতিবাদ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীতে দুমকিতে রেকর্ডিও খালে বাঁধ দিয়ে মাছের চাষ ও বাঁধ আটকে বেড়া দেয়ার ঘটনায় এলাকাবাসির মানববন্ধনের প্রকাশিত সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিষ্ট্রার মো: কামরুজ্জামান। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, জেলার দুমকি উপজেলাধীণ শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চরবয়েড়া এলাকায় তার নিজ গ্রামের বাড়ি সংলগ্ন দাঙ্গার খালে বাঁধ দিয়ে প্রতিবেশী ধনাঢ্য ব্যবসায়ি সাইদ মৃধা ও তার সহদর সাবেক ইউপি সদস্য রফিক মেম্বর অবৈধ অর্থবিত্ত আর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মাছের ঘের করে ৬বছর ধরে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। খালে স্থায়ী বাঁধ দেয়ার ফলে পানির প্রবাহ আটকে থাকায় কৃত্রিম জলাবদ্ধতা ও শুষ্কমৌসুমে সেচের পানি সংকটে শত শত একর ফসলী জমির চাষাবাদ বিঘিœত হচ্ছে। এতে প্রতিবছর কৃষকরা ফসলহানীতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় খাল দখলের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। একই খালের অগ্রভাগে সম্প্রতি আমরা আমাদের সম্পত্তি রক্ষায় বেড়া দেয়ায় প্রতিপক্ষের খাল দখল ও মাছের ঘেরের অসুবিধা হয়েছে। এখানে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ও ফসলাদি রক্ষার জন্য এবং আশেপাশের অন্যান্য কৃষকদের ফসলাদি রক্ষার জন্য খালের পাড় দিয়ে বেড়া দেয়া হয়েছে। যা সাধারণ জনগন ও কৃষকদের স্বার্থেই করা হয়। কিন্ত এই বেড়াটি তাদের (অবৈধ দখলদারদের) চক্ষুশূল হয়েছে। তারা তাদের অবৈধ খাল দখলে রেখে আমাদের সম্পত্তির ওপর দিয়ে জোড়পূর্বক জনচলাচলের রাস্তা বানানোর অপচেষ্টা বাস্তবায়ন করতেই তাদের অনুগত লোকজন নিয়ে পাতানো মানববন্ধন করিয়ে সামাজিক ভাবে আমাদের সন্মানহানীর অপচেষ্টা করছে। আমি চাকুরিজীবি মানুষ। ঘটনায় আমার সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও আমাকে জড়িয়ে তারা মিথ্যে সংবাদ প্রচার করেছে। আমরা ওই অবৈধ দখলদার প্রভাবশালী চক্রটির হীন অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এখানে আরও উল্লেখ্য যে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ইউনিয়ন পরিষদের অজ্ঞাতে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ভোটের রাজনীতির সমীকরণ মেলাতে সম্প্রতি নামমাত্র একটি কালভার্ট নির্মাণ করে আমাদেরসহ অনেক কৃষকের জমির ওপর দিয়ে জনচলাচলের হালট (গ্রাম্য পথ) পরিকল্পনা নেয়। আমরা আমাদের সম্পত্তির ফসল রক্ষায় আমাদের জমিতে বেড়া নির্মাণে অবৈধ দখলদাররা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক সুনাম ক্ষুন্নের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এসময় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: সাইফুল ইসলাম, ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: বাকের আলী (বাবুল) হাওলাদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest