ঢাকা ২ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:২৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০১৯
রিয়াজুল ইসলামঃ
রাজধানীর ভাটারায় ডেসকো বারিধারা শাখার দূর্নীতি এখন চরম পর্যায় পৌছেছে। আর এসব দূর্নীতির কারনে সরকার প্রতিমাসে রাজস্ব হারাচ্ছে কয়েক কোটি টাকা। আর দালালদের কারনে হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ গ্রাহকদের। দূর্নীতিবাজরা দূর্নীতির সবচেয়ে বড় যায়গা বেছে নিয়েছে বিভিন্ন অবৈধ অটোগ্রেজে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফেরাজিটোলা, সোলমাইদ, ঢালীবাড়ি, বেপারীবাড়ি মোড়, ফাসেরটেক, বটগাছিয়া, নয়ানগর, কোকাকোলা, সাইদনগর, ১০০ ফিট, নুরেরচালা, খিলবাড়ীরটেক, কলতান স্কুল রোড, বোডগার্ড আলীর গ্রেজ। ভাটারা এলাকার এসব সকল অবৈধ গ্রেজ থেকে প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বারিধারা ডেসকো শাখার স্টাফ ইঞ্জিঃ আমান।
জানা গেছে, ডেসকো বারিধারা ডিবিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইদুর রহমানের নামে ইঞ্জিঃ আমান প্রতি মাসে অটোগ্রেজ থেকে হাতিয়ে নেয় এসব টাকা। আরো জানা যায়, এসব গ্রেজে বৈধ কোন মিটার নেই যেসকল মিটার আছে তা শুধু নামে মাত্র। একটি বৈধ লাইন দিলে সেখানে দেখা যায় বাকি ৫ টি দেয় অবৈধ লাইন। বৈধ প্রতিটি লাইনে প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা বিল আসলে বাকি ঐ ৫ টি অবৈধ লাইনে বিল আসে ২ লাখ ৫০ হাজার। তার পুরো টাকাই নির্বাহী প্রকৌশলী সাইদুর রহমানের নামে তার অজান্তে চলে যায় স্টাফ আমান সাহেবের পকেটে। এভাবে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দূনীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করলেও এসব অসাধু কর্মকর্তা আমানের কারনে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
এ ঘটনা নির্বাহী প্রকৌশলী সাইদুর রহমানের নলেজেও আছে। গোপন এক সূত্রে জানা গেছে, এসব অবৈধ লাইন থেকে টাকা কালেকশন করে রিডিং ম্যান হাশেম। কেহ টাকা দিতে দেরি করলে লাইন কাটার হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করতে সহায়তা করে লাইন কাটার দায়িত্বে থাকা মনসুর ও দালাল আলিম। কেহ নতুন সংযোগের আবেদন করলে টাকা ছাড়া ফাইল সরেনা ফাইল। এ ব্যাপারে ফেন্সি আমানকে সাংবাদিক পরিচয়ে ফোন করা হলে হুমকি দেয় সংবাদকর্মীকে।
এবিষয় ডেসকো নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
চোখ রাখুন পর্রবতী পর্বের…
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST