আত্রাই-রানীনগর উপজেলার সেতু বন্ধন বাঁশের সাঁকো

প্রকাশিত: ৮:৫২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২০

আত্রাই-রানীনগর উপজেলার সেতু বন্ধন বাঁশের সাঁকো

এমরান মাহমুদ প্রত্যয়, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ক্ষিদ্র কালিকাপুর ও রানীনগরের ঘোষগ্রাম নামক স্থানে ছোট যমুনা নদীর উপর দিয়ে চলাচলের জন্য ভরসা ইজারাদারের উদ্যোগে নির্মিত বাঁশের সাঁকো। যোগাযোগ ব্যবস্থার এই আধুনিকতার যুগে স্বাধীনতার ৪৮বছর পার হলেও নওগাঁর ছোট যমুনা নদীর উপর দিয়ে পারাপারের জন্য আত্রাই উপজেলার ক্ষিদ্র কালিকাপুর ও রানীনগর উপজেলার ঘোষগ্রাম নামক স্থানে একটি ব্রীজ অভাবে বর্ষা মৌসুমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় এবং সুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকোই চলাচলের জন্য একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়ায়। জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিনে সীমান্ত ঘেঁষে ও আত্রাই উপজেলার সদর থেকে ১৪ কিলোমিটার পশ্চিম দিক দিয়ে বয়ে গেছে নওগাঁর ছোট যমুনা নদী। ওই এলাকার বসবাসরত মানুষ তাদের পারিবারিক প্রয়োজনে বর্ষা মৌসুমে নৌকায় ও সুষ্ক মৌসুমে বাশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হয়। শুস্ক মৌসুমে যখন বিলের পানি কমতে থাকে তখন পানি-কাদায় একাকার অবস্থায় পায়ে হেঁটেই আত্রাই উপজেলার আটগ্রাম, হরপুর, তারানগর, বাউল্লাপাড়া, ঝিয়াড়িগ্রাম, শলিয়া গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে জেলা ও উপজেলা সদরে চলাচল করে। নওগাঁর ছোট যমুনা নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে নৌকা চলাচল বন্ধ থাকায় ঘোষগ্রাম-ক্ষিদ্র কালিকাপুর নামক স্থানে নদী পারাপারের জন্য একটি বাঁশের সাঁকোর উপরই ভরসা করতে হয় দুই ইউনিয়ন বাসির। যানবাহন চলাচলের উপযোগী সরাসরি কোন পথ না থাকায় আত্রাই উপজেলার বিল বেষ্টিত কালিকাপুর ইউ’পির অবহেলিত জনপদের মধ্যে আটগ্রাম, হরপুর, তারানগর, বাউল্লাপাড়া, ঝিয়াড়িগ্রাম, শলিয়া বড়কালিকাপুর গ্রাম সহ রাণীনগর উপজেলার গোনা ইউনিয়নের ঘোষগ্রাম কৃষ্ণপুর, মালঞ্চি, নান্দাইবাড়ি, আতাইকুলা বেতগাড়ী গ্রামের মানুষ যোগাযোগ ব্যবস্থার তেমন উন্নয়ন না হওয়ায় রাষ্ট্রের অনেক জরুরী সুযোগ সুবিধা ও সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। ওই গ্রামগুলোতে সবচেয়ে বেশি ইরি ধান উৎপাদন এলাকা হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ধানসহ অন্যান্য কৃষি পন্যসামগ্রী সহজ ভাবে বাজারজাত করতে না পারায় নায্যমূল্য প্রাপ্তি থেকেও বঞ্চিত হয়। কিছুটা বাধ্য হয়ে ফরিয়া ও মহাজনদের কাছে চলমান বাজার মূল্যের চেয়ে কমদামে কৃষি পন্য বিক্রি করতে হয়। এখানে একটি ব্রীজ নির্মান দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি থাকলেও এই এলাকাবাসির ভাগ্য উন্নয়নের কারো যেন মাথা ব্যাথা নাই। অথচ উক্ত স্থানে ব্রীজটি নির্মান করা হলে আত্রাই-রানীনগর উপজেলাবাসির প্রাণের দাবি পূরণ হবে। আত্রাই উপজেলার ক্ষিদ্র কালিকাপুর গ্রামের আকবর আলী সরদার (৭০) আব্দুর রউফ (৪৮), রুহুল আমিন বিকাশ (৩৫) ও বেলালসহ গ্রামবাসিরা জানান, এখানে ব্রীজ না থাকায় প্রায় সারা বছরই কষ্ট করে নদী পারাপার হতে হয়। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসাগামী ছেলে মেয়েদের নিয়ে আমাদের আতংকে থাকতে হয়। আত্রাই উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হক নাদিম বলেন, দুই উপজেলার পারাপারের জন্য বর্ষা ও শুস্ক মৌসুমে নৌকা এবং বাঁশের সাঁকোর উপর ভরসা রাখতে হয় প্রায় ৮টি গ্রামের বসবাসরত জনসাধারণের। এখানে একটি ব্রীজ নির্মানের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলম এমপি-সহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সু,-নজর কামনা করছি।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest